যশকে তুলোধনা রানার
মুক্তির বাকি আর মাত্র পাঁচ দিন। তার আগেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এনা সাহা প্রযোজিত ছবি ‘চিনে বাদাম।’ সকাল সকাল টুইট করে ছবি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন নায়ক যশ দাশগুপ্ত। আর তা নিয়েই নেটমাধ্যমে ঝড়। বিভিন্ন মহলে এখন একটাই প্রশ্ন। ‘বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান’ স্লোগানে কি তবে ছেদ পড়তে চলেছে?
টলিউড প্রযোজক রানা সরকারের প্রশ্ন, এই কি বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ানোর নমুনা? যশের টুইট ভাগ করে নিয়ে তিনি পাল্টা লেখেন, ‘টাকা পেয়ে গিয়েছি আর কী চাই, এবার প্রোডিউসার মরুক...।’ ছবি মুক্তির আগে এমন হয়রানির পরে এনা এবং তাঁর প্রযোজনা সংস্থার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। তবে এই প্রথম নয়, আগেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেটমাধ্যমে সরব হতে দেখা গিয়েছে রানা সরকারকে। অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে রানার মন্তব্যের স্মৃতি এখনও অনুরাগীদের মনে টাটকা।
রবিবারের টুইটের পরে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয় প্রযোজকের সঙ্গে। প্রশ্ন ছিল, নেটমাধ্যমে এ ভাবে লিখে বাকিদের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না তো? শত্রু বেড়ে যাচ্ছে না তো ইন্ডাস্ট্রিতে? রানার সটান উত্তর, “ইন্ডাস্ট্রিতে শত্রু, বন্ধু করে কী হবে? কেজিএফ-এর এক জন যশ আছে, আমাদেরও এক জন যশ আছে। এই ঘটনাই বলে দেয় আমরা কেন পিছিয়ে পড়েছি। প্রতিভা আছে বলে যাঁদের নিয়ে আমরা মাতামাতি করি, তাঁরা অভিনয় করতে পারেন না। তাঁদের কোনও দর্শক নেই। অথচ তাঁদের টালবাহানা প্রযোজকদের সহ্য করতে হয়। এর তো প্রতিবাদ তো হওয়া দরকার।” এর পরেই রানার সংযোজন, “যশ কিংবা বাকিরা নিজেদের বিরাট নায়ক ভাবতে পারে। কিন্তু তাঁদের অভিনয় দর্শকরা দেখতে আসেন না। তা হলে তাঁদের এমন বাহানা কেন আমরা সহ্য করব?”
যশকে নিয়ে ছবি তৈরির কথা কি কখনও ভাবেননি রানা? কিংবা আগামীতেও কি ভাববেন না? প্রযোজকের দাবি, “এক বার ভেবেছিলাম। কিন্তু যশ যে পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন, তা আমার মনে হয়েছিল ওঁর বাজারদরের তুলনায় অনেকটা বেশি।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।