ফাইল চিত্র।
তাঁর সই জাল করেছেন এসকে মুভিজের দুই কর্ণধার। এমনই অভিযোগ আনলেন প্রযোজক রানা সরকার । বিষয়টি বিশদ ভাবে জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করে রানা সরকারের সঙ্গে। তিনি বলেন, “ওরা ‘ক্রিমিনাল’। আমার সই জাল করেছে । শুধু তা-ই নয়, আমার নামে আদালতে অভিযোগও জানিয়েছে। কিন্তু কিছুই করতে পারিনি।’’
কিন্তু কিসের প্রেক্ষিতে এমন অভিযোগ রানার?প্রযোজকের দাবি, ২০১৮ সালে একটি ধারাবাহিকের জন্য তাঁকে ৩০ লক্ষ টাকা দেয় এসকে মুভিজ। সেই কারণে একটি চুক্তিতে সইও করেন উভয় পক্ষ। চুক্তি হওয়ার পরেই নাকি অন্য মূর্তি ধারণ করেন এসকে মুভিজের দুই কর্ণধার। চুক্তির শর্ত পরিবর্তনের দাবি জানান তাঁরা। রানা যদিও সেই চুক্তিতে রাজি হননি। ফলে তাঁকে হুমকিও দেন ধানুকারা। এই হুমকি যদিও ধোপে টেকেনি বলে দাবি রানার। ধানুকারাও শেষ পর্যন্ত ফেরত পান ধার দেওয়া টাকা।
রানার দাবি, সই করা চুক্তিপত্র আদালতে জমা দিয়ে পুনরায় তাঁর কাছে টাকা দাবি করেন ধানুকারা। চুক্তিপত্র দেখিয়ে তাঁরা জানান, রানা তাঁদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেননি। এই ঘটনাতেই চটেছেন রানা। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তাঁর পাল্টা দাবি, এই চুক্তিপত্র ভুয়ো, তাঁর সইও নকল।
এ নিয়ে কী বলছেন এসকে মুভিজের হিমাংশু এবং অশোক ধানুকা ?অশোক বলেন, “সই জালের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যে।’’ হিমাংশু যোগ করেন, ‘‘একটি ধারাবাহিকের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন রানা৷ সুদ-সহ সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। উনি টাকা দেননি, চেক ধরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই চেক বাউন্স করে।’’
টাকা নিয়ে এই বিবাদ এখানেই থেমে থাকেনি। থানায় এসকে মুভিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন রানা। গড়িয়াহাট থানার ওসিকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে এ নিয়ে কিছু বলা যাবে না।’’