আদিল খান দুরানির সঙ্গে রাখি সবন্ত। ছবি: সংগৃহীত।
যেমন রাখি সবন্ত, তেমনই তাঁর প্রাক্তন স্বামী আদিল খান দুরানি। বিতর্ক ছড়াতে উভয়েই সিদ্ধহস্ত। আরজি কর-কাণ্ডে নারীনিগ্রহ, ধর্ষণের মতো সমস্যা নতুন করে যখন প্রত্যেকের কপালে ভাঁজ ফেলেছে, তখনই আদিলের দাবি, “বৈবাহিক ধর্ষণের কথা কখনও শুনিইনি!” ২০২৩-এ তাঁর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা, বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন প্রাক্তন স্ত্রী রাখি। আদালতে সেই মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি। তার মধ্যেই সংবাদমাধ্যমে আদিলের মুখে এই ধরনের বক্তব্য শুনে স্বাভাবিক ভাবেই হতবাক দর্শক-পাঠক।
আদিলের বক্তব্য কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আরও এক ধাপ সুর চড়িয়ে তিনি জানিয়েছেন, দেশে এবং বিদেশে তাঁর প্রচুর বন্ধু। তাঁদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। প্রত্যেকে তাঁর সঙ্গে সহমত, এই ধরনের অঘটন নাকি কোথাও তেমন ঘটে না। এই অভিজ্ঞতা থেকে বক্তা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, “যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটেও থাকে, তবে তা সংখ্যায় নাকি নগণ্য। অর্থাৎ, যে হারে ধর্ষণ হয়, বৈবাহিক ধর্ষণ নাকি তার তুলনায় অনেক কম।” এ-ও মত, নারী-পুরুষের মধ্যে দ্বিধা থাকলে, সম্পর্কে অনিশ্চয়তা থাকলে বিবাহবন্ধনে যাওয়াই উচিত নয়। তাঁর এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই সপ্তাহান্তের শেষ দিন সরগরম।
২০২২-এ ধর্ম বদলে আদিলকে বিয়ে করেছিলেন রাখি। এক বছর যেতে না যেতেই তাঁর বিরুদ্ধে মারধর, শারীরিক নিগ্রহ এবং বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তিনি। ২০২৩-এর ৭ ফেব্রুয়ারি নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন আদিল। মামলার আগামী শুনানি চলতি বছরের নভেম্বরে। তখনই প্রকাশ্যে অভিযুক্তের অতীত। জানা যায়, এক ইরানি নারী তাঁর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁকেও বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ দিন সহবাস করেছিলেন অভিযুক্ত। অভিযোগকারিণী জানিয়েছিলেন, বিয়ের কথা তুললেই নাকি তাঁকে ভয় দেখাতেন, হুমকি দিতেন আদিল। রাখির সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর চলতি বছরে তিনি ফের গাঁটছড়া বেঁধেছেন সোমি আলি খানের সঙ্গে।