১০ বছরের সহবাস। এ বার বিয়ে করবেন পত্রলেখা পাল এবং রাজকুমার রাও। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর সত্যি হলে বুধবারই বিয়ে সারছেন তাঁরা। কিন্তু সে খবর প্রকাশ করতে রাজি নন দুই তারকাই।
‘হাত বাড়ালেই বন্ধু থেকে প্রেমিক’— রাজকুমারের সঙ্গে তাঁর প্রেমের বর্ণনা এ ভাবেই দেন পত্রলেখা।
রাজকুমারকে প্রথম বার ‘লাভ সেক্স অউর ধোকা’ ছবিতে দেখেছিলেন পত্রলেখা। তাঁর কথায়, ‘‘ও রকম অদ্ভুত চরিত্রে অভিনয় করতে দেখে রাজকুমারকে আমি অদ্ভুতই ভেবেছিলাম।’’
কিন্তু রাজকুমার তাঁর প্রেমিকাকে একটি বিজ্ঞাপনে প্রথম দেখেছিলেন। পর মুহূর্তে তাঁর মাথায় একটিই ভাবনা খেলে যায়, ‘‘আমি এই মেয়েটিকে বিয়ে করতে চাই। ইশ যদি কখনও দেখা করতে পারি!’’
কাট টু ২০২১ সাল। রাজস্থানে বিয়ে করতে চলেছেন সেই দু’জন।
এর আগে বহু বার রাজকুমার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন— তিনি এবং পত্রলেখা বিয়ে বা সন্তানা নিয়ে কথা বলেন না। ২০১৮ সালে পত্রলেখা বলেছিলেন, ‘‘আগামী ৬-৭ বছরের মধ্যে বিয়ের পরিকল্পনা নেই। আমার বাবা-মা কেউই আমার বিয়ে নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চায় না।’’
রাজকুমার-পত্রলেখার সম্পর্কের বয়স বাড়লেও প্রেমের বয়স বাড়েনি। তার-ই উদাহরণ পত্রলেখার গল্পে—
অনেক দিন দেখা হয়নি পত্রলেখা-রাজকুমারের। প্রেমিকাকে কাছে পাওয়ার পাগলামিতে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে জুহু পর্যন্ত ছুটেছিলেন রাও।
খুব বেশি রোজগার নেই তখন রাজকুমারের। তাও ভালবেসে পত্রলেখাকে একটি দামি ব্যাগ উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ব্যাগটি হারিয়ে যায় লন্ডনে। কাঁদতে কাঁদতে রাজকুমারকে ফোন করে সে খবর জানান পত্রলেখা। তাঁর কথায়, ‘‘দামি ব্যাগের জন্য আমার মন খারাপ হয়নি। ওই ব্যাগটা আমার কাছে স্মৃতি।’’
ছেলের প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার পর রাজকুমারের মা বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয়, ছেলের জীবন সঙ্গী হিসেবে শেষ জনের সঙ্গে দেখা করছি।’’ পত্রলেখাকে দেখার পর এতটাই নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন রাজকুমারের মা।
সেই জুটি এ বার সাত পাকে বাঁধা পড়বে। সূত্রের খবর, ছোট্ট অনুষ্ঠান করে বিয়ে করবেন দু’জনে। চলচ্চিত্র জগতের হাতে গোনা কয়েক জনকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে।