(বাঁ দিকে) ‘কালকক্ষ’ ছবির পোস্টার,পরিচালক রাজদীপ পাল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বুধবার ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা বাংলা ছবির খেতাব জিতে নেয় রাজদীপ পাল এবং শর্মিষ্ঠা মাইতি পরিচালিত ‘কালকক্ষ’। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ঘুরে এসেছে এই ছবি। বিভিন্ন মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
সুখবর পাওয়ার পর থেকেই একের এক ফোন এসে চলেছে তাঁর কাছে। আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক বলেন, “খুবই উত্তেজিত আমি। ভাবতেই পারছি না। ‘কালকক্ষ’-এর আগে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছে। প্রশংসিতও হয়েছে। কিন্তু দেশের মাটিতে পুরস্কার পাওয়ার তো আনন্দটাই অন্য রকম। জাতীয় পুরস্কারের মতো একটি বিষয়। একদমই কল্পনা করতে পারিনি। আশা তো সবাই করে। তবে এই ভাবে পূর্ণ হবে অবশ্যই কল্পনা করতে পারিনি।”
একই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ছিল ‘মহানন্দা’। অরিন্দম শীলের মতো অভিজ্ঞ পরিচালকের সঙ্গে মঞ্চে নেমে জিতে গেলেন নতুন পরিচালকদ্বয়। এ প্রসঙ্গে রাজদীপ জানিয়েছেন, পরিচালকরা নিজেদের ১০০ শতাংশ দিয়ে ছবি তৈরি করেন। জুরিদের উপরই সবটা নির্ভর করে। এই জুরির যেমন পছন্দ হয়েছে তাঁদের ছবি। তেমনই আবার অন্য কোনও জুরি থাকলে তাঁদের অন্য ছবিও পছন্দ হতে পারত।
বিধ্বস্ত মানুষের জীবন, তাঁদের অসহায়তা, মারণ রোগের প্রকোপ এবং চিকিৎসকদের অনস্বীকার্য ভূমিকা— করোনা পরিস্থিতি নিয়েই ছবির গল্প বুনেছেন পরিচালক জুটি।
সেরা বাংলা ছবি ‘কালকক্ষ’ ছাড়াও বাংলা ছবি ‘ঝিল্লি’র ঝুলিতেও গিয়েছে ‘স্পেশ্যাল মেনশন’। সেরা অভিনেত্রীর বিভাগে যুগ্ম ভাবে বিজয়ী হয়েছেন দুই নায়িকা। ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ি’র জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন আলিয়া ভট্ট এবং ‘মিমি’ ছবিটির জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন কৃতি শ্যানন। অভিনেতা অল্লু অর্জুনের ঝুলিতে গিয়েছে সেরা অভিনেতার পুরস্কার। সেরা ছবি হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে মাধবন অভিনীত ‘রকেট্রি দ্য নাম্বি এফেক্ট’।