(বাঁ দিকে) সলমন খান। রাজ কুন্দ্র ও শিল্পা শেট্টি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বছর দুয়েক আগে। ২০২১ সালে পর্নোগ্রাফি মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁর। সেই ঘটনার পর থেকেই আলোচনায় রয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্র। পর্নকাণ্ড নিয়ে তো বটেই, পাশাপাশি নিজেকে রকমারি মুখোশের আড়ালে রাখার কারণেও প্রচারে থাকেন তিনি। গত কয়েক মাসে সেই আলোচনা বেড়েছে বই কমেনি। সৌজন্যে রাজের প্রথম ছবি ‘ইউটি ৬৯’। এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছেন তিনি। ছবির প্রযোজনাও করেছেন রাজ নিজেই। বছর দুয়েক আগে পর্নোগ্রাফি মামলায় নাম জড়ানোয় দীর্ঘ সময় হাজতবাস হয় তাঁর। প্রায় দু’মাস পরে জেল থেকে ছাড়া পান রাজ। জেলে থাকার সেই অভিজ্ঞতাই ‘ইউটি ৬৯’ ছবিতে তুলে ধরেছেন রাজ। আপাতত ছবির প্রচারে ব্যস্ত তিনি। তেমনই এক অনুষ্ঠানে এ বার হাজতবাসকে ‘বিগ বস্’-এর সঙ্গে তুলনা করলেন রাজ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজ বলেন, জেল নাকি আসলে ‘বিগ বস্’-এর ঘরের মতো। রাজের কথায়, ‘‘আমাকে আর পাঁচজন বন্দির সঙ্গে কমন ব্যারাকেই রাখা হয়েছিল। জেল বিষয়টা অনেকটা ‘বিগ বস্’-এর মতো। সেখানে সবার চলনবলনই আলাদা। এমন একটা অভিজ্ঞতা আমি চাই না কারও হোক।’’ তবে জেলে থাকার সময়ই নাকি প্রথম খাবার ও পানীর জলের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন রাজ। রাজের কথায়, ‘‘আমি ভাল ভাবে ঘুমোতে পারতাম না। খাওয়াদাওয়ার মানের কথা না হয় না-ই বললাম।’’ জেলে থাকাকালীন প্রায় দমবন্ধ হয়ে এসেছিল রাজের। সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করে রাজ বলেন, ‘‘একটা সময় আমি এতটাই ভেঙে পড়েছিলাম যে শিল্পাকে বলেছিলাম, ‘আর এক সপ্তাহ যদি আমাকে এখানে থাকতে হয়, তা হলে আমার বাক্সবন্দি দেহ এখান থেকে বেরোবে।’ তবে ওই সময়ে আমার স্ত্রীই আমাকে মানসিক ভাবে সাহস জুগিয়েছিল।’’ জেল থেকে বেরিয়ে বেশ কিছু জেলবন্দিকে জামিনের টাকা দিয়েও নাকি সাহায্য করেছেন রাজ, জানান তিনি।
২০০৯ সালে শিল্পার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। পেশায় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি হলেও বরাবরই প্রচারের আলোয় থেকেছেন রাজ। পর্নকাণ্ডে নাম জড়ানোর পরে জেলে থাকাকালীন তাঁকে নাকি চিঠি লিখতেন শিল্পা। সেই সব চিঠিই শুধু নয়, নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের ছবিও নিজের কাছে রাখতেন তিনি। এক দিন না এক দিন জেল থেকে বেরিয়ে তাঁদের কাছে ফিরতে পারবেন তিনি, এই আশায় বুক বেঁধেই নাকি জেলে রাতের পর রাত কাটিয়েছেন রাজ।