অভিনেত্রী নার্গিস দত্ত, বৈজয়ন্তীমালা এবং দক্ষিণী অভিনেত্রী পদ্মিনীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাজ, এমনই শোনা যায়। ফাইল চিত্র
বিতর্কিত টুইট করে প্রায়ই শিরোনামে আসেন স্বঘোষিত চলচ্চিত্র সমালোচক কমল আর খান বা কেআরকে। তবে মঙ্গলবার তিনি যা করলেন, তা নিয়ে বিপুল শোরগোল। কী পোস্ট করেছিলেন কেআরকে?
দেখা যায়, প্রয়াত অভিনেতা রাজ কপূরের এক পুরনো সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ভাগ করেছেন তিনি। যেখানে রাজ বলছেন, তিনি নগ্নতার পূজারী। স্নানের সময় মাকে দেখেও কামতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন। অকপটে স্বীকার করেছেন সে কথা।
রাজের ‘কলঙ্কময়’ প্রেমজীবনের কাহিনি সকলেরই জানা। কৃষ্ণা মলহোত্রের সঙ্গে তাঁর বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়েও কথা উঠেছিল। অনেকেরই দাবি, কৃষ্ণা আসলে রাজের বাবার তুতো বোন ছিলেন। আবার বিবাহিত জীবনের পাশাপাশি চলত পরকীয়াও। অভিনেত্রী নার্গিস দত্ত, বৈজয়ন্তীমালা এবং দক্ষিণী অভিনেত্রী পদ্মিনীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রাজ, এমনই শোনা যায়। সব গুজবেই সিলমোহর দিয়েছিলেন পুত্র ঋষি কপূর। আত্মজীবনীতে বাবার কীর্তি খোলাখুলিই জানিয়েছিলেন তিনি।
তবুও রাজকে পছন্দ করেন সে কাল এবং এ কালের দর্শক। রাজের অভিনয়দক্ষতাই এর বড় কারণ। কেআরকের শেয়ার করা পুরনো ভিডিয়োয় রাজের বলা কথা তাই ‘বিস্ফোরক’ বলে মনে হয় না কারও। সকলেই আবার মন দিয়ে শুনে ফেললেন রাজকে। গালমন্দ করলেন কমলকেই। এতেও তাজ্জব সমালোচক। সে কী! সব দোষ তাঁর? এ দিকে রাজ যা বলছেন, তার পরও তিনিই ধোয়া তুলসীপাতা?
ভিডিয়োতে রাজকে বলতে শোনা যায়, “আমি অত্যন্ত অবাস্তব চিন্তাভাবনা করতাম। আর আমি ছিলাম নগ্নতার পূজারী। আমার মনে হয় সব শুরু হয়েছিল আমার মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই। তিনি ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী এক তরুণী।পাঠান রমনীর মতো ধারালো চেহারার অধিকারিণী।”
রাজ আরও জানান, তিনি আর মা (রামসরনী কপূর) একসঙ্গে স্নান করতেন। মাকে নগ্ন দেখতে দেখতেই শিহরন হত তাঁর শরীরে। রাজের কথায়, “পবিত্র নগ্নতা, যা আমায় মগ্ন করে রাখত। আমার সিনেমাগুলোতেও স্নানের দৃশ্য তাই বিশেষ গুরুত্ব নিয়ে আসত। নারীরা আমার চেতনা জুড়ে থাকতেন বরাবর।”
এ দিকে কেআরকে দেখলেন, রাজের সেই বক্তব্য শুনেও প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন সকলে। নীচে মন্তব্য এল, “রাজ অসাধারণ মানুষ ছিলেন। আর কেআরকে এক জন ঘৃণ্য, নির্লজ্জ লোক।”