রাজ জানান, ১৫ দিনের মাথায় চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। এ রকম একটি বড় উৎসব আয়োজনের জন্য ১৫ দিন নেহাতই কম বলে দাবি তাঁর। এই অবস্থায় ১০ দিন আগে থেকে সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো সত্যিই সম্ভব হয়নি। এমনকি সব আমন্ত্রণপত্র গিয়েছে দিন দুয়েক আগে।
রাজ চক্রবর্তী-মিমি চক্রবর্তী
মিমি চক্রবর্তী আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, চলচ্চিত্র উৎসবে তাঁকে বারবার অপমানিত হতে হয়েছে। তিনি এও বলেছিলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সব কিছুতে সমান নজর রাখা সম্ভব নয়। যাঁদের দিদি চলচ্চিত্র উৎসব পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যেই আমার এই বক্তব্য।’’ মিমির এই ক্ষোভের উত্তর দিলেন পরিচালক-বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী।
আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘‘এই উৎসব সকলের। কাউকে অসম্মান করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কোথাও ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। অভিনেত্রী-সাংসদকে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে পারফর্ম করার জন্য পরিচালক সুদেষ্ণা রায় নিজে ফোন করেছিলেন। অভিনেত্রী জানান, উনি ব্যস্ত। এমনকি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন সকালে আয়োজকদের পক্ষ থেকেও ওঁর কাছে ফোন যায়। তা হলে উনি অপমানিত কোথায় হলেন?’’
আনন্দবাজার অনলাইনে মিমি অভিযোগ করেন, ‘‘আমার লেটার বক্সে কার্ড এসেছিল। ওই অবধি। আয়োজকদের পক্ষ থেকে না কোনও ফোন, না কোনও এসএমএসও! আমি কোথায় কখন যাব, তা-ও জানি না।’’ ২০১৯ সালে রাজ যখন প্রথম বার চলচ্চিত্র উৎসবের দায়িত্ব নেন, তখনও মিমি জানান, মঞ্চে তাঁর নামের সঙ্গে ‘সাংসদ’ শব্দটি উচ্চারণ করা হয়নি। সকলের শেষে শুধু ‘মিমি’ সম্বোধনে তাঁকে আহ্বান করা হয়েছিল।
সেই প্রসঙ্গে রাজ বলেন, ‘‘তালিকায় অনেক নাম ছিল। পরমব্রত (চট্টোপাধ্যায়) মিমির নাম উচ্চারণের সময়ে ‘সাংসদ’ শব্দটি ব্যবহার করতে ভুলে গিয়েছিলেন। এটা ভুল। এর জন্য পরম বহু বার মিমির কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।’’
সর্বোপরি রাজ জানান, ১৫ দিনের মাথায় চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। এ রকম একটি বৃহৎ উৎসব আয়োজনের জন্য ১৫ দিন নেহাতই কম বলে দাবি তাঁর। এই অবস্থায় ১০ দিন আগে থেকে সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে আমন্ত্রণ জানানো সত্যিই সম্ভব হয়নি। এমনকি সব আমন্ত্রণপত্র গিয়েছে দিন দুয়েক আগে। সেই প্রেক্ষিতে রাজ বললেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীর যদি উদ্যোক্তাদের কোনও আচরণে খারাপ লেগে থাকে, তা হলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’’