রাধিকা আপ্টে। অভিনয় জগতে এই মুহূর্তে এক জনপ্রিয় নাম। তাঁর অভিনয় দক্ষতা কারও অজানা নয়। কিন্তু তাঁর সম্বন্ধে অনেকেই এগুলো জানেন না
রাধিকার জন্ম তামিলনাড়ুর ভেলোরে। তাঁর বাবা-মা দু’জনেই ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন।
রাধিকা নিজেও ভীষণ মেধাবী ছিলেন। পুণের ফার্গুসন কলেজ থেকে অর্থনীতি এবং অঙ্ক নিয়ে স্নাতন হন তিনি।
পুণেতেই তাঁর বেড়ে ওঠা। শুধু কি অভিনয়েই তিনি পারদর্শী? এর পাশাপাশি পড়াশোনা এবং নাচেও তিনি সমান পারদর্শী। আট বছর ধরে রোহিণী ভাটের কাছে তিনি কত্থক শিখেছেন।
নাচের পাশাপাশি ওই সময়ে রাধিকা পুণের থিয়েটার গ্রুপের সঙ্গেও যুক্ত হন। তারপর ফিল্মে যোগ দেওয়ার জন্য মুম্বই পাড়ি দেন তিনি। কিন্তু মুম্বইয়ে ফিল্মের জন্য ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর।
ফলে ফের পুণেতে বাবা-মার কাছে চলে যান। পুণেতে গিয়ে ফের যোগ দেন থিয়েটারে। রাধিকা অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা-মা দু’জনেই পুণের নাম করা চিকিৎসক। অনেকেই জানেন না, তা সত্ত্বেও রাধিকা কেরিয়ার শুরু করেন মাত্র আট হাজার টাকার মাইনেতে।
মুম্বইয়ের গোরেগাঁওয়ে একটি থিয়েটার কোম্পানিতে মাত্র আট হাজার টাকা মাইনের বিনিময়ে কাজে যোগ দেন তিনি। গোরেগাঁওয়ের একটি পুরনো বাড়ির ছোট ঘরে পেয়িং গেস্ট থাকতেন। তাঁর সঙ্গে রুম শেয়ার করতেন আরও অনেকেই।
অত্যন্ত পরিশ্রমী রাধিকার লক্ষ্য কিন্তু ছিল উঁচু তারে বাঁধা। আর তাই থিয়েটারের পাশাপাশি ফিল্মে কাজের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ২০০৯ সালে প্রথম ‘ঘো মালা আসলা হাভা’ নামে একটি মরাঠি কমেডি ফিল্মে সুযোগ পান। তারপর ‘শোর ইন দ্য সিটি’, ‘রক্তচরিত্র’, ‘আই অ্যাম’-এ অভিনয় করেন তিনি।
এর মাঝেই রাতারাতি এক বছরের জন্য লন্ডনে গিয়ে কন্টেম্পোরারি ডান্স শেখার সিদ্ধান্ত নেন রাধিকা। ২০১১ সালে লন্ডনেই তাঁর স্বামী মিউজিসিয়ান বেনেডিক্ট ট্রেলরের সঙ্গে পরিচয়। বেনেডিক্টের সঙ্গে ডিসট্যান্ট রিলেশনশিপে রয়েছেন রাধিকা। ২০১৩ সালে বিয়ে করেন তাঁরা।
সৌন্দর্য এবং বুদ্ধিমত্তার মিশেল রাধিকা আপ্টে। একের পর এক ছবিতে নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন তিনি। ‘বদলাপুর’, ‘পার্চড’, ‘ফোবিয়া’, ‘প্যাডম্যান’, ‘অন্ধাধুন’— তালিকা দীর্ঘ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেরিয়ার নিয়ে সন্তুষ্ট নন তিনি। নিজেকে সফলও মনে করেন না রাধিকা।