স্বপন গুপ্ত। ফাইল চিত্র।
উৎসবের আমেজেই ছন্দপতন। মহাষষ্ঠীতে চলে গেলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী স্বপন গুপ্ত। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী এবং মেয়েকে। গত এক মাস ধরে কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন শিল্পী। দেবব্রত বিশ্বাস এবং মায়া সেনের সুযোগ্য ছাত্র স্বপন জন্মগ্রহণ করেন অধুনা বাংলাদেশের বরিশালে। ১৯৬৫ সালে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক এবং ১৯৬৭ সালে তিনি স্নাতকোত্তর হন। কোনও দিনই তিনি গায়ক হবেন, এমন স্বপ্ন দেখেননি।
১৯৬৫ সালে দেবব্রত বিশ্বাসের সংস্পর্শে আসার পরেই বদলে যায় তাঁর জীবন। রবীন্দ্রগানের ছোঁয়ায় নতুন ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করেন শিল্পী। তাঁর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘‘বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী স্বপন গুপ্তের প্রয়াণে আমি গভীর শোকাহত। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বিশেষ গায়নশৈলী শ্রোতাদের দীর্ঘদিন মুগ্ধ করে রেখেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৫ সালে তাঁকে 'সঙ্গীত মহাসম্মান' প্রদান করে। তাঁর মৃত্যুতে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি স্বপন গুপ্তের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’
পরিচালক শৈবাল মিত্রের পরিচালিত ছবি ‘চিত্রকর’-এ স্বপন গুপ্তের দুটি গান ব্যবহৃত হয়েছিল। ছবিতে দৃষ্টিহীন বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়ের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী নিজেও দৃষ্টিহীন হওয়ায় চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে তিনি প্রবীণ অভিনেতাকে অনেকটাই সাহায্য করেছিলেন। ছবির স্বার্থে দীর্ঘ দীন এক সঙ্গে কাটিয়েছিলেন অভিনয় এবং গানের দুনিয়ার দুই অন্যতম শিল্পী।