‘জোছনা কুমারী’ নাটকের দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র।
স্বাধীনতার চৌকাঠে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী এক গ্রাম গড়বন্দিপুরের ঘটনা। সেই গ্রামেই আশ্রিতা এক অসহায় নারী। কখনও তার নাম বীণা, কখনও সে ফতিমা। হিন্দু না মুসলিম সে? কী তার পরিচয়? কেউ তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, কেউ তাকে ডাইনি তকমা দেয়, কেউ আবার তাকে বিক্রি করে দেওয়ার ফন্দি-ফিকির আঁটে। তার দেশ স্বাধীন, তা সত্ত্বেও সে নিজে দেশছাড়া। সত্তরের প্রেক্ষাপটে আশ্রয়ের খোঁজে দিশেহারা এক নারীর মর্মন্তুদ চিত্র এঁকেছিলেন সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। উপন্যাসের নাম ‘জোছনা কুমারী’। সেই উপন্যাস অবলম্বনে লেখা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ে নাটক ‘জোছনা কুমারী’। আগামী ১১ অগস্ট ‘পূর্ব পশ্চিম’-এর নির্দেশনায় মঞ্চে উপস্থাপিত হতে চলেছে সেই নাটক।
‘জোছনা কুমারী’ নাটকের দৃশ্যে কলাকুশলীরা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রয়াত সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী স্বাতী গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণাতেই মঞ্চে ‘জোছনা কুমারী’ উপস্থাপনার পরিকল্পনা করেন নাটকের নির্দেশক সৌমিত্র মিত্র। সংলাপ রচনা করে উপন্যাসকে নাট্যোপযোগী করে তোলেন উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। নাটকের মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করছেন মেঘনাদ ভট্টাচার্য ও শুভাশিস মুখোপাধ্যায়। মঞ্চসজ্জায় রয়েছেন দেবব্রত মাইতি, সঙ্গীতে অভিজিৎ আচার্য।
গত কয়েক মাস ধরেই গোষ্ঠী হিংসার জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি মণিপুরে। সেই হিংসার প্রভাব পড়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্যের মহিলাদের উপরেও। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল সমাজমাধ্যমের পাতায়। এমন এক কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে ‘জোছনা কুমারী’ নাটকের উপস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ‘পূর্ব পশ্চিম’। আগামী ১১ অগস্ট, সন্ধে ৬.৩০-এ অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে উপস্থাপিত হতে চলেছে ‘জোছনা কুমারী’।