ফাইল চিত্র।
বাবা বাংলা সিনেমার ‘ইন্ডাস্ট্রি’। মা-ও স্বনামধন্য অভিনেত্রী। ছেলেও কি তবে সেই পথ ধরেই আগামী দিনে হাঁটবেন? প্রসেনজিৎ-পুত্র তৃষাণজিৎকে (ডাক নাম মিশুক) নিয়ে সিনেপ্রেমীদের মধ্যে এই প্রশ্নই তাড়া করে বেড়াচ্ছে। মিশুককে আগামী দিনে রুপোলি পর্দায় দেখার ব্যাপারে বিগত কয়েকদিন ধরেই নানা জল্পনা-কল্পনা চলেছে। শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’-য় ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সিনেমা করলে পুত্রকে পিতার পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে, এ কথাই বলেছেন টলিপাড়ার সুপারস্টার। তবে এখনও মিশুকের অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়নি বলেই জানালেন বাবা। বরং পুত্রের ফুটবল-প্রেমের কথা ভাগ করে নিলেন ‘বুম্বা দা’।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রুপোলি পর্দায় আধিপত্য কায়েম রেখেছেন বাবা। প্রসেনজিতের মতোই ‘সুদর্শন’ মিশুক। আগামিদিনে তা হলে মিশুককেও কি বড়পর্দায় দেখা যাবে? প্রসেনজিতের জবাব, ‘‘অভিনয়টা এখনও ওর মাথায় নেই।’’ এরপরই ছেলের ফুটবল-প্রীতি প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘‘লন্ডনে পড়াশোনা করেছে। ও বলে যে, বাবা আমায় যদি ভারতের হয়ে ফুটবল খেলতে হয়, তা হলে ওখানে গিয়ে খেলতে হবে...ও ফুটবলার হতে চায়। এ নিয়ে কয়েকজন ফুটবলার বন্ধুর সঙ্গে কথা বলি। ওরা বলে খেলাও এখানে। আমি বলেছি, দেড়-দু'বছর সময় দিচ্ছি। লড়ো, খেলতে পার। যদি খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পার, তা হলে ঠিক আছে। আমার ছেলে স্পোর্টসম্যান হলে খুবই খুশি হব। ওকে খেলার বিষয়ে যে কোনও প্রশ্ন কর, উত্তর দিয়ে দেবে।’’
সম্প্রতি পিতা-পুত্রকে কয়েকটি অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। মিশুককে দেখে সিনেপ্রেমীদের মন মজেছে। এই প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘সুদর্শন চেহারা, সে কারণেই লোকজন ভাবছে সিনেমায় অভিনয় নিয়ে। ওকে বলেছি সিনেমায় এলে আমার কথা শুনতে হবে। আমি চাই ও সব কিছু শিখে আসুক। বলেছি, এখন তোমার কথা শুনছি। কিন্তু সিনেমায় এলে তখন আমার কথা শুনতে হবে। অনেক কিছু শিখতে হবে।’’