কেমন আছিস ঋতু? খোঁজে প্রসেনজিৎ
৩১ অগস্ট ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মদিন। কী ভাবে তাঁর ‘বন্ধু’ উদ্যাপন করছেন দিনটি? জন্মদিনের মেনুতে আলুপোস্ত আছে তো? জানতে এই প্রথম চিঠি লিখলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
তাঁর প্রিয় বন্ধু হঠাৎই চলে গিয়েছেন অনেক দূরে, আকাশপারে। জন্মদিনে তাই চিঠিতেই শুভেচ্ছা বিনিময়। বন্ধুকে মনে করিয়ে দেওয়া তাঁর বিশেষ দিনের কথা।
রিল ভিডিয়োর আকারে লেখা চিঠির শুরুতেই টলিউড ‘ইন্ডাস্ট্রি’র আন্তরিক অনুরোধ, ‘সে ভাবে কোনও দিনই চিঠি লেখা হয়ে ওঠেনি আমার। তোর মতো ভাল লিখতেও পারি না। তবু আজকের দিনে চেষ্টা করলাম একটু। ভুল হলে রাগ করিস না কিন্তু।'
প্রয়াত পরিচালকের ‘চোখের বালি’র ‘মহেন্দ্র’ এর পরে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের হয়ে ঋণস্বীকার করেন বন্ধুর কাছে।
‘চোখের বালি’র ‘মহেন্দ্র’ এর পরে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের হয়ে ঋণস্বীকার করেন বন্ধুর কাছে। বলেন, ঋতুপর্ণ তাঁর সৃজনশীলতার রঙে অনন্য ভাবে রাঙিয়েছেন চলচ্চিত্র জগৎকে। একই সঙ্গে প্রসেনজিৎ আরও এক বার মনে করেছেন ঋতুপর্ণ ও তাঁর যুগলবন্দি। ‘উনিশে এপ্রিল’, ‘উৎসব’, ‘চোখের বালি’, ‘দোসর’, ‘খেলা’, ‘দ্য লাস্ট লিয়র’ জুড়ে তাঁদের রসায়নের ছাপ। মঙ্গলবার ঋতুপর্ণর জন্মদিনে তাঁর খুব কাছের বন্ধুর স্বীকারোক্তি, ‘আমার জীবনে তোর যে অবদান, তা কয়েকটি শব্দে বোঝনো সম্ভব নয়। তুই তা জানিসই। বুঝিস তো...!’
এর পরেই মনখারাপের মেঘ সরিয়ে ঝলমলিয়ে উঠেছেন তারকা অভিনেতা। জানতে চেয়েছেন, আজকের দিনে আগের মতোই ঋতুপর্ণের পাতে পোস্ত থাকবে তো? পাশাপাশি, বন্ধুর লেখা নতুন চিত্রনাট্যের খোঁজও নিয়েছেন। তিনি জানেন, ছবি, ক্যামেরা, চিত্রনাট্য ছাড়া ঋতুপর্ণ ঘোষ অসম্পূর্ণ। যেখানেই থাকুন, পরিচালক এই সমস্ত উপকরণ ছাড়া দিন কাটাতে পারবেন না। আবদার করেছেন, লেখা শেষ হলে নতুন চিত্রনাট্য যেন তাঁকে পড়ে শোনান তাঁর ‘বন্ধু’। জানিয়েছেন, তিনি অপেক্ষায় থাকবেন।