প্রসেনজিৎ
এত দিন খুচখাচ ম্যাচ খেলছিলেন! এ বার পুরো টুর্নামেন্ট নামানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছেন। আর যে টুর্নামেন্টের হোতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সেটা যে বছরভর চলবে, তা জানা কথা।
ছোট-বড় দুই পর্দাতে আগে প্রযোজনা করলেও এ বার বেশ বড় ভাবেই পরিকল্পনা করেছেন প্রসেনজিৎ। বৃহস্পতিবার নিজস্ব ব্যানারে ছ’টি সিনেমার ঘোষণা করলেন তিনি। এ ছাড়া ‘মহালয়া’ এবং ‘উড়নচণ্ডী’ তো আছেই।
সুচিত্রা ভট্টাচার্যের একটি গল্প নিয়ে ছবি করবেন। সৌমিক সেনের পরিচালনায় ‘মহালয়া’ ছাড়াও ‘কলকাতা কোম্পানি’র ঘোষণা করলেন। যেখানে অভিনয়ে প্রসেনজিতের সঙ্গে বনি সেনগুপ্তও রয়েছেন। ছবিটি আন্ডারওয়র্ল্ড নিয়ে। সুপারন্যাচারাল রম-কম ‘দাস দা’ নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি করার পরিকল্পনাও প্রসেনজিতের। যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে যিশু। তাঁর চরিত্রটা অনেকটা দেবদাসের আদলে। এই ছবির কাহিনি ও ভাবনা প্রসেনজিতের নিজেরই। তবে পরিচালনা করবেন চন্দ্রিল ভট্টাচার্য। আর অন্যতম চমক কিন্তু গুপী-বাঘাকে ফিরিয়ে আনা। বিষয়টা খোলসা না করলেও শোনা যাচ্ছে, গুপী-বাঘার পরবর্তী প্রজন্মকে এ বার পর্দায় দেখা যাবে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও একটি ছবি করছেন তিনি। সুযোগ দিচ্ছেন নতুন পরিচালক চন্দ্রাশিস রায়কেও।
প্রসেনজিৎ যে একটা নতুন ইনিংস শুরু করতে যাচ্ছেন, তা স্পষ্ট। ‘‘ইন্ডাস্ট্রির একটা বুস্ট দরকার এ বার। আমি এগিয়ে না এলে আর কে আসবে,’’ উত্তেজিত স্বরে বলছিলেন প্রসেনজিৎ। তা হলে কি এ বার শুধু নিজের প্রযোজনাতেই ছবি করবেন? এ বারও উত্তেজিত তিনি! বললেন, ‘‘একেবারেই নয়। বাকিদের প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার জন্য, নতুন প্রতিভা তুলে আনার জন্যই এই উদ্যোগ। আমি অন্য সকলের প্রযোজনায় ছবি করতে চাই। নিজের প্রযোজনা সংস্থা খুলে শুধু নিজেই অভিনয় করাটা কোনও কাজের কথা নয়।’’
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রযোজনায় আসায় ইন্ডাস্ট্রির পাওয়ার গেম অনেকটাই বদলাবে। বিশেষত, যে ধরনের ছবি তিনি করতে চলেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের এখানে বড় প্রযোজনা সংস্থা খুব কম। আরও নতুন প্রযোজক আসা দরকার। এসভিএফ-এর সঙ্গে ছবিটা সামনেই শুরু হবে। এ ছাড়াও, সুরিন্দর ফিল্মসের সঙ্গেও কাজ করছি।’’