ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত মনোজ মিত্রের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। বিষণ্ণ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। ছবি: ফেসবুক।
প্রয়াত মঞ্চ-পর্দার সফল অভিনেতা, অধ্যাপক মনোজ মিত্র। দীর্ঘ অসুস্থতার পরে মঙ্গলবার সকাল ৮.৫০ মিনিটে বিধাননগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোকজ্ঞাপন করেছেন মঞ্চ এবং পর্দার তাবড় অভিনেতারা। নানা অভিজ্ঞতা, স্মৃতিকথা ভাগ করে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমে, একান্ত সাক্ষাৎকারে। সে ভাবেই প্রয়াত অভিনেতা ও নাট্যব্যক্তিত্বকে সমাজমাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
পরিচালক-অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র হওয়ার সুবাদে তিনি অনেক ছোট বয়স থেকেই বাংলা বিনোদন দুনিয়ার খ্যাতনামীদের সংস্পর্শে এসেছেন। পরবর্তীকালে একই পেশায় আসায় তাঁদের সঙ্গে কাজও করেছেন। মনোজ মিত্রের সঙ্গেও প্রসেনজিৎ একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। সে কথা তিনি সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন। লিখেছেন, “আমি তাঁর সঙ্গে অনেক ছবিতে একসঙ্গে কাজও করেছি। আজ তাঁর চলে যাওয়া যেন এক শূন্যতা রেখে গেল মঞ্চে এবং হৃদয়ে।” তাঁর মতে, মনোজ মিত্র মঞ্চের উজ্জ্বল এক অধ্যায়। শুধু এক অসামান্য শিল্পীই নন, তিনি এক অসাধারণ মানুষও ছিলেন। প্রসেনজিতের কাছে মনোজ মিত্র তাঁর ‘মনোজ জেঠু’। পরমাত্মীয়কে বিদায় জানাতে গিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ভারাক্রান্ত তিনি। লিখেছেন, “বিদায় প্রিয় মনোজ জেঠু, আপনি মঞ্চে এবং আমাদের স্মৃতির আঙিনায় চিরকাল অমর থাকবেন।”
মনোজ মিত্রের প্রয়াণে বিষণ্ণ ঋতুপর্ণাও। তিনিও নিজের মনোভাব প্রকাশ করেছেন সমাজমাধ্যমে। প্রয়াত অভিনেতা-নাট্যব্যক্তিত্বকে ঘিরে তাঁরও অনেক স্মৃতি। প্রযোজক-অভিনেত্রী লিখেছেন, “খ্যাতনামী মনোজ মিত্রকে বিদায়। বাংলা থিয়েটারের একজন আলোকবর্তিকা। যাঁর অভিনয়ের নান্দনিকতা এবং গভীরতা অগণিত দর্শক-হৃদয় স্পর্শ করেছিল। তাঁর উত্তরাধিকার তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয়, যা তাঁর কালজয়ী ছবি, নাটকে বেঁচে থাকবে। আপনি শান্তিতে বিশ্রাম করুন।”