মালতীর তরফে দিদিমাকে 'হ্যাপি বার্থ ডে'
মা, মেয়ে আর নাতনি— আদরে বাঁধা পড়ে তিন প্রজন্ম। এমন ভরা সংসারই তো চেয়েছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস! মা মধু চোপড়ার জন্মদিনে সুখী পরিবারের ছবি ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। কন্যা মালতী ম্যারির এক ঝলক আভাসও দেখা গেল তাতে। একরত্তি নাতনিকে বুকে জড়িয়ে দিদিমা। প্রিয়ঙ্কাও পিছন দিক থেকে জড়িয়ে আছেন মা-কে।
মাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন মা। তোমার মিষ্টি হাসিটা যেন সব সময়ে দেখতে পাই। তোমার উৎসাহেই প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তোমার একক ইউরোপ সফর ছিল আমার দেখা সেরা জন্মদিন উদ্যাপন।’ ছোট্ট মালতীর দিদিমা এখন মধু। মেয়ের তরফেও ‘নানি’কে শুভেচ্ছা জানিয়ে দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
মা, মেয়ে আর নাতনি— আদরে বাঁধা পড়ে তিন প্রজন্ম।
সারোগেসি-তে জন্ম প্রিয়ঙ্কার মেয়ের। মালতী এখন পাঁচ মাসের। নির্ধারিত সময়ের আগেই জন্ম হওয়ায় ১০০ দিন হাসপাতালেই কাটাতে হয়েছিল সদ্যোজাতকে। মেয়েকে ঘরে আনার পরে নিক-প্রিয়ঙ্কার ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িতে যেন উৎসবের আমেজ। পুরোহিত ডেকে হিন্দুমতে লক্ষ্মীপুজো করিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা। সে ছবি দেখে অবাক হয়েছিলেন অনুরাগীরা। অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ভারতীয় রীতিনীতি ঐতিহ্য মেনেই জীবনধারণে বিশ্বাসী তিনি। নিকও পুজো শেষে ঈশ্বরকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিয়েছিলেন সে বার। ঘরে যে লক্ষ্মী এসেছে। বাবা-মা প্রতিনিয়ত ঘিরে রয়েছেন একরত্তিকে। নিজে গান গেয়ে তাকে ঘুম পাড়ান বাবা নিক জোনাস।
আর দিদিমা মধু? ফাঁক পেলেই ছুটে যান মার্কিন মুলুকে মেয়ের বাড়িতে। এখন যে ছোট্ট নাতনিকে পেয়ে তাঁরও জীবন বদলে গিয়েছে। জন্মদিনেও নাতনির সঙ্গ পাওয়ার চেয়ে বড় উপহার কী হতে পারে! তাই মা-মেয়েতে ঠায় তাকিয়ে রইলেন ছোট্ট পরির মতো মালতীর মুখের দিকেই।