২২ বছর পরে পেয়েছেন সম-পারিশ্রমিক, নজির গড়লেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। — ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক তারকা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস। হলিউডে চুটিয়ে কাজ করছেন। ‘কোয়ান্টিকো’ দিয়ে হাতেখড়ি তাঁর। তার পর ‘বেওয়াচ’, ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রেজ়ারেকশন্স’ এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। এ বার মার্ভেল খ্যাত রুশো ব্রাদার্সের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন দেশি গার্ল। কল্পবিজ্ঞান ও স্পাই থ্রিলারের মিশেলে তৈরি সিরিজ় ‘সিটাডেল’। বহুভাষী এই সিরিজ়ে মুখ্য চরিত্রে দেখা যেতে চলেছে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাসকে। এই সিরিজ়ের হাত ধরে হলিউডের প্রথম সারির তারকাদের তালিকায় ঢুকে গেলেন প্রিয়ঙ্কা। শুধু তাই-ই নয়, ‘সিটাডেল’-এ কাজ করে নিজের কর্মজীবনে আরও এক মাইলফলক পেরোলেন অভিনেত্রী। ২২ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে এই প্রথম পুরুষ তারকার সমান পারিশ্রমিক পেয়েছেন তিনি, জানান দেশি গার্ল।
এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘আমি গত ২২ বছর ধরে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত। এত দিনে আমি প্রায় ৭০টারও বেশি ছবিতে কাজ করেছি। বেশ কতগুলো টেলিভিশন শো করেছি। ‘সিটাডেল’-এই প্রথম আমার বিপরীতে পুরুষ অভিনেতার সমান পারিশ্রমিক পেয়েছি আমি।’’ কর্মজীবনের দু’দশক পেরিয়ে এই নজির গড়তে সক্ষম হয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। পারিশ্রমিক বৈষম্য নিয়ে একাধিক বার মুখ খুলেছেন তারকা। নারীপ্রধান ছবি ছাড়া অন্য ছবিতে পুরুষ তারকাদের অর্ধেকেরও কম পারিশ্রমিকে কাজ করতে হয় অভিনেত্রীদের। একাধিক বার এই অভিযোগ তুলেছেন প্রিয়ঙ্কা। শুধু বলিউডে নয়, পারিশ্রমিক বৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছেন একাধিক হলিউড অভিনেত্রীও। প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘এটা খুব অদ্ভুত একটা বিষয়! এক জন পুরুষ অভিনেতা একটা ছবিতে যতটা সময় দিচ্ছেন, যতটা খাটছেন সেই কাজের জন্য— আমিও ততটাই পরিশ্রম করছি। তা সত্ত্বেও আমাকে কম পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে।’’ তাঁর মতে, ‘‘শুধুমাত্র মহিলা হওয়ার কারণে কম পারিশ্রমিক পাওয়া তো এক প্রকার লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হওয়ার সমান!’’
২২ বছর ধরে চলচ্চিত্র জগতে কাজ করার পরে অবশেষে পুরুষ অভিনেতার সমান পারিশ্রমিক পেয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এও বলেন, ‘‘হতেই পারে হলিউডে হাতে গোনা যে ক’জন মহিলা ছবি নির্মাতা আছেন, তাঁদের এক জনের সঙ্গে আমার চুক্তি হওয়ার কারণে আমি বর্তমানে সমান পারিশ্রমিক পেয়েছি। যদি তিনি না থাকতেন তাহলে কি আমি সেই পারিশ্রমিক পেতাম?’’ প্রশ্ন তারকার। তবে, ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে ছবি নির্মাতাদের মানসিকতায়, বদলাচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি। মহিলা তারকারা যদি নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হন, তাহলে ভবিষ্যতে পারিশ্রমিক বৈষম্য অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব বলে বিশ্বাস প্রিয়ঙ্কার।