মা হতে কী কী কষ্ট সহ্য করতে হয় প্রিয়ঙ্কাকে? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
২০২২ সালে সারোগেসির মাধ্যমে মা হন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তাঁর মেয়ে মালতী মেরি চোপড়া জোনাস সমাজমাধ্যমে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। তবে মা হওয়া যে মুখের কথা নয়, তা বুঝেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তাই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন অনেক আগেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান তাঁর মা হওয়ার সেই গল্প। যা মোটেই সহজ ছিল না।
৩০ বছর বয়স থেকেই নিজের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে শুরু করেন প্রিয়ঙ্কা।অভিনেত্রীর মা মধু চোপড়া নিজেই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। মায়ের পরামর্শতেই এই পদক্ষেপ অভিনেত্রীর। এই প্রসঙ্গে প্রিয়ঙ্কার যুক্তি, ‘‘আমি উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কেরিয়ারের দিকে আমি সফল হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সময় আমি এমন কাউকে পাইনি, যার সঙ্গে বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবতে পারি। তাই মায়ের পরামর্শেই এই সিদ্ধান্ত।’’ তবে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান ধারণ যে খুব সোজা নয়, সেটাই জানালেন অভিনেত্রী। 'কোয়ান্টিকো' সিরিজে অভিনয় করার সময়ে এক কষ্টকর পর্বের মধ্যে দিয়ে যান তিনি। প্রিয়ঙ্কার কথায়, প্রায় এক মাস ধরে ইনজেকশন নিতে হয় তাঁকে। হরমোনের উত্থান-পতন হয়েছে। পাগল পাগল লাগত। ওজন বাড়তে শুরু করে। তার উপর গোটা পদ্ধতি ব্যয়বহুলও বটে। যার জন্য সঞ্চয় প্রয়োজন। প্রিয়ঙ্কার সংযোজন, ‘‘যাঁরা সিঙ্গল মহিলা, বাচ্চা নেবেন কি না নিশ্চিত নন, তাঁদের জন্য এই প্রক্রিয়াটা ঠিক আছে।’’ আসলে জীবনের একটা সময় তিনিও নিশ্চিত ছিলেন না ৩০ পেরোনোর পর তাঁর মা হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা আসবে কি না। সেই কারণেই এই উদ্যোগ।
সম্পর্কে জড়ানোর কয়েক মাসের মধ্যেই নিক জোনাসকে বিয়ে করেন প্রিয়ঙ্কা। নিক যখন ২৫, তখন ৩৫ পেরিয়ে গিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘২৫ বছর বয়সে সন্তান নেওয়ার কথা ভাবব কি না, তাই নিয়ে দ্বিধায় ছিলাম। তাই ডেট করতেও চাইনি।’’ তবে শেষমেশ নিকের গলায় মালা দেন অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে স্বামী আর মেয়েকে নিয়ে বিদেশে সংসার পেতেছেন প্রাক্তন এই বিশ্বসুন্দরী।