কেট মিডলটনের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে উইলিয়ামের সঙ্গে রসায়ন জমে উঠেছিল অনলাইন চ্যাটে। যাকে ‘সাইবার সম্পর্ক’ বলছেন ব্রিটনি।
প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত ইমেল আদানপ্রদান চলত। প্রেম-প্রেম ভাবও এসেছিল। আমেরিকার সঙ্গীত-তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স হঠাৎই সে কথা ফাঁস করলেন। তাঁর দাবি, ডাচেস অফ কেমব্রিজ কেট মিডলটনের সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে কৈশোরে উইলিয়ামের সঙ্গে রসায়ন জমে উঠেছিল অনলাইন চ্যাটে। যাকে ‘সাইবার সম্পর্ক’ বলছেন ব্রিটনি।একইসঙ্গে, ফ্রাঙ্ক স্কিনারকে দেওয়া একইসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে গায়িকা জানান, প্রিন্স অফ ওয়েলস লন্ডনে থাকাকালীন ২০ বছর বয়সি গায়িকা তাঁকে নৈশভোজের নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আসেননি।
ব্রিটনির কথায়, “আমরা ইমেলে মনের কথা আদানপ্রদান করেছি বেশ কিছুটা সময়। কিন্তু দেখা করা হয়ে ওঠেনি।” বহু মানুষের কামনা-বাসনার প্রতিমূর্তি ব্রিটনিকে কি উপেক্ষা করেছেন রাজপুত্র? সে কথা জিজ্ঞাসা করলে গায়িকা জানান, “ঠিক তাই।” তার পর অবশ্য গায়ক জাস্টিন টিম্বারলেকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন ‘টক্সিক’ গায়িকা। ২০০২ সালের শেষ দিকে তাঁদের প্রেম ভেঙে যায়।
প্রিন্স উইলিয়াম এবং প্রিন্সেস কেটও সে সময় কাছাকাছি আসেন। তাঁরা দু’জনেই স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। বন্ধুত্ব মোড় নিয়েছিল প্রেমে। ২০০৭ সালে তাঁদের মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য দেখা যেতে দু’মাসের এক বিরতি নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর আবার পথ চলা শুরু করেন একসঙ্গে।
২৯শে এপ্রিল, ২০১১ সাল। বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে সাক্ষী রেখে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তাঁরা তিন সন্তানের বাবা-মা। প্রিন্স জর্জের বয়স ৯, প্রিন্সেস শার্লট ৭ এবং প্রিন্স লুই ৪ বছরে পড়ল।অন্য দিকে দুই সন্তান জেডেন এবং শনের মা ব্রিটনি তাঁর তৃতীয় বিবাহবিচ্ছেদের পর একাই রয়েছেন।