বাবা রাজ বব্বরকে নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিলেন প্রতীক? ছবি: সংগৃহীত।
এক সময় মতের অমিল হলে দাপুটে বাবারা সন্তানকে ‘ত্যাজ্য’ ঘোষণা করতেন। যদিও এখন সমাজের ধরন-ধারণ বদলেছে। ‘ত্যাজ্য’ করার প্রবণতা বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে প্রায় নেই অভিভাবকদের মধ্যে। এ বার বড় পদক্ষেপ করলেন অভিনেতা প্রতীক বব্বর। নিজের নামের পাশ থেকে চিরতরে ‘বব্বর’ পদবি সরিয়ে ফেললেন। যোগ করে নিলেন মা স্মিতার পদবি ‘পাতিল’। এর নেপথ্যে কারণ ঠিক কী, জানালেন প্রতীকের স্ত্রী প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাত্র কয়েক দিনের প্রতীককে রেখেই মারা যান স্মিতা পাতিল। ছোটবেলা থেকে খ্যাতনামী বাবা রাজ বব্বরের কাছ থেকে নাকি অবজ্ঞাই পেয়েছেন, বিভিন্ন সময় এ কথা জানিয়েছেন প্রতীক। জীবনের গতিপথে অনেক অন্ধকার রাস্তায় হেঁটেছেন, কিন্তু কখনওই পাশে পাননি বাবা রাজ বব্বরকে। তাই এ বার তাঁর পদবি ত্যাগ করলেন প্রতীক। বর্তমানে তাঁর পরিচয় ‘প্রতীক স্মিতা পাতিল’।
নিজের বাবার পরিচয় বর্জন করার পরিণাম কী হতে পারে সেই নিয়ে ভাবিত নন প্রতীক। তিনি স্পষ্টই জানান, নিজের পদবি পরিবর্তন কেরিয়ারে কী প্রভাব আনবে সেটা নিয়ে তিনি একেবারেই চিন্তিত নন। প্রতীক বলেন, “আমি শুধু ভেবেছি কোন কাজটা আমার আত্মাকে আনন্দ দেবে। কিসে আমি ভাল থাকব, সেটা ভেবেছি। এই কাজটা আমার কেরিয়ারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না, অত সাতপাঁচ ভাবিনি। এর পরিণতি কী হবে তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি কেবল চিন্তা করি যে এই নামটি শুনলে আমার কেমন অনুভূতি হয়। আমার মা (স্মিতা পাতিল), তাঁর নাম এবং তাঁর উত্তরাধিকারের সঙ্গে আমার সম্পূর্ণ এবং সম্পূর্ণ ভাবে যুক্ত থাকা উচিত। আমার মনে হয় না অন্য কারও নাম সেই উত্তরাধিকারকে কলঙ্কিত করতে পারে।”
স্বামীর এই সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে স্ত্রী প্রিয়ার। তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকেই ওঁর বাবা প্রতীকের জীবনের কোনও কিছুর মধ্যেই তো ছিলেন না।” উল্লেখ্য, বলিউডের প্রথম সারির পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালীও ঠিক এ ভাবেই নিজের নামের সঙ্গে ব্যবহার করেন তাঁর মায়ের নাম।