সুশান্ত মামলায় রিয়া স্বস্তি পেতেই গর্জে উঠলেন দিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে নাকি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী! অভিনেতার মৃত্যুর পর এমনই দাবি করেন তাঁর অনুরাগীরা। সুশান্তের সঙ্গে সেই সময় একত্রবাস করতেন রিয়া। অভিনেতার বাবা ও দিদি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিকের বিরুদ্ধে। তার ভিত্তিতে তাঁদের কিছু দিন সংশোধনাগারেও কাটাতে হয়।
তবে এখানেই শেষ নয়। সেই সময় একের পর এক তথ্য রটতে থাকে। শোনা যায়, সুশান্তকে নাকি নিয়মিত মাদক সরবারহ করতেন রিয়া ও তাঁর ভাই। এমনকি ‘কালাজাদু’-র মত তত্ত্বও উঠে আসে। এ দিকে সুশান্তের ফ্ল্যাটের সামনে ২৪ ঘণ্টা প্রহরা, দাঁড়িয়ে থাকতেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। নানা রকম তথ্য প্রকাশ পেত সমাজমাধ্যমে। পাঁচ বছর পর নিরপরাধ প্রমাণ হলেন রিয়া। অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, হুঙ্কার দিয়া মির্জার।
সুশান্তের মৃত্যুর পর সারা দেশবাসীর কাছে রাতারাতি খলনায়িকা হয়ে ওঠেন রিয়া। তবে তাতেই ক্ষান্ত হননি। কেউ বলেছেন তিনি কালোজাদু করেন, কেউ কেউ তো আঙুল তুলেছিলেন বাঙালি মেয়েদের দিকে। দীর্ঘ পাঁচ বছর তদন্ত চলার পর সিবিআই শনিবার মুম্বই আদালতে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টেই নিশ্চিত করা হয়েছে সুশান্ত আত্মঘাতী হয়েছিলেন। তদন্তে অন্য কোনও দিক উঠে আসেনি। একই সঙ্গে রিয়া এবং তাঁর ভাইয়ের উপর থেকে যাবতীয় চার্জশিট তুলে নেওয়া হয়। সিবিআইয়ের ঘোষণার পর শনিবার থেকে রবিবার— এক রাতের মধ্যে সেই ‘খলনায়িকা’ এখন নেটাগরিকদের কাছে ‘নায়িকা’! রিয়ার কাছে লিখিত ক্ষমা চাওয়ার আর্জি জানিয়ে সরব হয়েছেন বলিউড তারকারা। এ বার মুখ খুললেন দিয়া। তিনি লেখেন, ‘‘আপনাদের ডাইনি খোঁজা বন্ধ হয়েছে কি না! আপনারা টিআরপির জন্য যে ভাবে একটা পরিবারকে বিব্রত করেছেন তার জন্য আপনাদের সকলের রিয়া ও তাঁর পরিবারের কাছে লিখিত ক্ষমা চাওয়া উচিত। অন্তত এটুকু তো করতেই পারবেন।’’
দেশবাসীও সরব রিয়াকে নিয়ে। নেটাগরিকদের কারও মত, “এখন রিয়ার উচিত মানহানির মামলা করা। এই একটি মামলা তাঁর জীবন কলঙ্কিত করেছে। পেশাজীবন নষ্ট করেছে। একা তিনি নন, তাঁর পরিবার সমান ভাবে কলঙ্কিত।” কেউ কুর্নিশ জানিয়েছেন, রিয়ার সাহসিকতাকে।