নিউ ইয়র্কের টাইম স্কোয়্যারে ‘দোস্তজী’র ছবির পোস্টারের সামনে প্রসূন। ছবি: সংগৃহীত।
নিউ ইয়র্কের টাইম স্কোয়্যার। চারপাশে সন্ধ্যার ব্যস্ত জনজীবন। কিন্তু তার মাঝেই সুউচ্চ অট্টালিকার গায়ে বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং চোখ টানছে পথচারীদের। টাইম স্কোয়ারে হোর্ডিংয়ে সাধারণত হলিউডের বড় বড় ছবির বিজ্ঞাপনী প্রচার সারা হয়। কিন্তু যে ছবির পোস্টার বা ট্রেলার চলছে তা যে একটু অপরিচিত, ‘বিদেশি’। খেয়াল করা গেল ছবিটি বাংলা! প্রসূন চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত টলিপাড়ার সাড়া ফেলা ছবি ‘দোস্তজী’!
‘দোস্তজী’ ছবির একটি দৃশ্যে দুই শিশুশিল্পী আশিক শেখ ও আরিফ শেখ। ছবি: সংগৃহীত।
টাইম স্কোয়্যারে এই প্রথম কোনও বাংলা ছবির পোস্টার এবং ট্রেলার দেখানো হল। স্বাভাবিক ভাবেই ছবির মুকুটে এই নতুন পালকে উচ্ছ্বসিত ছবির পরিচালক। সুদুর আমেরিকা থেকে আনন্দবাজার অনলাইনকে প্রসূন বললেন, ‘‘অদ্ভুত অনুভূতি। আমি ভাষায় ব্যক্ত করতে পারব না।’’ সেই সঙ্গে়ই প্রসূন ফিরে গেলেন ‘দোস্তজী’ নিয়ে তাঁর লড়াইয়ের দিনে। বললেন, ‘‘ছবিটা কলকাতায় মুক্তির সময় টাকার অভাবে একটা ভাল পোস্টার বা বড় হোর্ডিংও দিতে পারিনি। আজকে সেই ছবি নিউ ইয়র্কের টাইম স্কোয়্যারের বিলবোর্ডে দেখানো হচ্ছে, এটা ভেবে ভাল লাগছে। বলিউডে ছবির ক্ষেত্রেও এই শিরোপা খুবই বিরল।’’
অতিমারির পর বাংলা ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। সেখানে ‘দোস্তজী’র এই শিরোপা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা বলেই মনে করছেন প্রসূন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের তো ভালই লাগছে। কিন্তু আমার মতে, বাংলা সিনেমার জন্যও আজ একটা বড় দিন। একটা বড় প্রাপ্তি।’’
বাংলায় ‘দোস্তজী’র সাফল্য নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। উল্লেখ্য, ১৭ মার্চ আমেরিকা-সহ কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, নিউ জ়িল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াতে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। ফলে আগামী বছর অস্কার-দৌড়েও শামিল হবে প্রসূন পরিচালিত এই ছবি।