বিয়ের পিঁড়িতে বসতে নারাজ অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা, কারণ জানতে চাইলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
শনিবার দুপুরে দীর্ঘ দিনের প্রেমিকা ঐন্দ্রিলার সেনের ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে ছবি দেন অঙ্কুশ হাজরা। টলিউড তারকাদের এমন ঘনিষ্ঠ ছবি বেশ বিরল। ছবি দিলেন, পাশাপাশি জানালেন বিয়ে হচ্ছে না তাঁর ও ঐন্দ্রিলার। সামনেই প্রেম দিবস। চলতি বছর তাঁদের সম্পর্ক ১৩ বছর পূর্ণ করতে চলেছে। কিন্তু তাঁর আগেই বিয়ে নিয়ে এমন ঘোষণায় প্রায় ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে টলি পাড়ায়। তারকা যুগলের এমন কাণ্ড শুনে তড়িঘড়ি ফোন এল ঐন্দ্রিলার ‘বুম্বা মামু’-র তরফে। দু’জনের সমস্যা কোথায়? জানতে চাইলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
‘ভ্যালেন্টাইনস্ ডে’-র দিনই অঙ্কুশের জন্মদিন। সেই দিনই অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার সম্পর্কের ১৩ বছর পূর্ণ হবে। সকলেই ভেবেছিলেন, এ বার হয়তো বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন এই তারকা জুটি। কিন্তু এত উলটপুরাণ প্রিয়তমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি দিয়ে অঙ্কুশ লেখেন, “কিছু বিশেষ কারণে আমাদের বিয়ে হবে কি না জানি না। কিন্তু এই ১৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের সম্পর্কের ১৩ বছর পূর্ণ হবে। আমার জন্মদিনে এর থেকে বড় উপহার আর কী-ই বা হতে পারে? বাকিটা ব্যক্তিগত।”
অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার এমন কীর্তি দেখে ফোন এল ইন্ডাস্ট্রির ‘অভিভাবক’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের তরফে। জানতে চাইলেন তাঁদের মধ্যে সমস্যাটা কোথায়? কেনই বা বিয়ে করছেন না? তা হলে কি বিয়ে করে লুকিয়ে রাখতে চাইছেন? অভিভাবকের মতো বললেন, ‘‘এ বার বিয়ের তারিখটা ঘোষণা কর।’’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে মুখে কিছু বলতে পারেননি অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। দুজনেই হতচকিত। একে অপরকে একটা কথা বলছেন, ‘‘আমাদের সম্পর্কের ১৩ বছর পূর্ণ হবে, আমরা এখনও কেন বিয়ে করতে পারছি না। আমি কারণটা বলতে পারব না, পারলে তুমি বলে দাও।’’
আসলে গোটা ঘটনাটাই অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা জুটির আগামী ছবি ‘লভ ম্যারেজ’-এর প্রচার কৌশল বলেই মনে করছেন একাংশ।