পাওলি এবং প্রসেনজিতের সঙ্গে দিতিপ্রিয়া।—নিজস্ব চিত্র।
একজন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির ‘ জ্যেষ্ঠপুত্র’।অন্য জনকে কনিষ্ঠতম বললেও ভুল হবে না। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দিতিপ্রিয়া রায়।দুই প্রজন্ম একমঞ্চে। এই প্রথম। সৌজন্যে আনন্দবাজার ডিজিটাল।
প্রথম সাক্ষাতেই দিতিপ্রিয়ার কাছে প্রসেনজিতের প্রশ্ন, এত বছর ধরে কী ভাবে একই চরিত্রের বিভিন্ন বয়সে অভিনয় করছেন টিনেজের কোটা পার না করা দিতিপ্রিয়া? প্রশ্নটা শুনেই কিছুটা হাসি খেলে গেল রানিমার মুখে। মঞ্চে বসেই ফিরে গেলেন বছর তিনেক আগের কোনও এক দিনে।
মনে করার চেষ্টা করলেন কবে প্রথম রাসমণির চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন। সামনের টেবিলে পড়ে থাকা মাইক্রোফোনটা তুলে নিয়ে বললেন, ক্লাস টেনে পড়তে পড়তেই রাসমণির পথ চলা শুরু। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, কয়েকমাস সেই চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই বেড়ে গেল থেকে যাওয়ার মেয়াদ।
দিতিপ্রিয়া এবং প্রসেনজিত। —নিজস্ব চিত্র।
এরপর?
দিতিপ্রিয়ার যাওয়ার পালা। রাজা রাজচন্দ্র মারা যাওয়ার পর রাসমণি বিধবা প্রৌঢ়া। কাস্ট করা হবে কোনও বয়স্ক অভিনেত্রীকে। কিন্তু ততদিনে দিতিপ্রিয়া মানুষের ঘরে ঘরে। তাঁকে ছেড়ে কি ধারাবাহিক ভাবা যায়! কাজেই আর যাওয়া হল না তাঁর।থেকে গেলেন আপামর বাঙালির ‘রানিমা’ হয়ে।দিতিপ্রিয়ার কণ্ঠে উচ্ছ্বাস, "এখন আমার চুল পেকে গিয়েছে। নাতি নাতনিদের নিয়ে সংসার।"
এই কথা শুনে হাসি ধরে রাখতে পারলেন না এ দিনের অতিথিরাও। এরপরেই প্রসেনজিতকে সঞ্চালক স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে রোম্যান্টিক দৃশ্যে অভিনয় করবেন?”
চেনা হাসি খেলে গেল ইন্ডাস্ট্রির দাদার মুখে। জানালেন, দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে অভিনয় করতে তিনি সব সময় রাজি।এর পর ইয়ার্কির সুরে জুনিয়রকে প্রশ্ন, “ তুমি অভিনয় করবে তো আমার সঙ্গে?”
এমন প্রস্তাবের উত্তর কি আর আলাদা করে বলতে হয়!
আরও পড়ুন: ইমরান খানের প্রাক্তন পত্নীর বইনির্ভর ছবিতে অভিনয়ে শাবানা
শুধু হাসিঠাট্টা নয়, সিনিয়র হিসাবে দামি পরামর্শ দিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বললেন, নিজের অভিনয় শক্তি সবটাই ধারাবাহিকে খরচ না করে সেলুলয়েডের জন্য জমিয়ে রাখতে। তাঁর বিশ্বাস, অনেক দূর এগোবেন দিতিপ্রিয়া।
পাওলি এবং শ্রীলেখার সঙ্গে ইশা।
প্রসেনজিৎ এবং দিতিপ্রিয়ার সঙ্গেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পাওলি দাম।কালো শাড়ি, বাহারি ব্লাউজ আর এক গুচ্ছ সিলভার চুড়ি আর খোলা চুলে তিনি সাক্ষাৎ ‘কলঙ্কিনী রাধা’ । সঞ্চালকের অনুরোধে ‘বুলবুল’ - এর ’ছোটি বহু’ র মেজাজেই গেয়ে উঠলেন সেই গান । গলা মেলালেন দিতিপ্রিয়াও।
আরও পড়ুন: রাজভবনে চাঁদের হাটে দিতিপ্রিয়াকে বছরের বেস্ট পুরস্কার রাজ্যপালের
এ ভাবেই পুরস্কার সন্ধ্যায় মিলে গেল সেলুলয়েডের প্রসেনজিৎ-পাওলির সঙ্গে ধারাবাহিকের রাসমণি।