পরীমণি।
শুক্রবার ফের পরীমণিকে পেশ করা হল আদালতে। ইতিমধ্যেই এক সপ্তাহেরও বেশি হাজতবাস করে ফেলা পরীমণির জামিনের আবেদন করেছেন তাঁর আইনজীবীরা। পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি আদালতে প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
মাদক মামলায় পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও পাঁচ দিন তাঁকে হেফাজতে রাখার অনুমতি চেয়েছিল বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ। কিন্তু শুনানির পর মঙ্গলবার আদালত অভিনেত্রীকে দু’দিন হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। দু’দিন পর অর্থাৎ শুক্রবার বাংলাদেশের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই তারকাকে আবারও পেশ করা হল আদালতে।
৪ অগস্ট পরীমণির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মদ উদ্ধার করে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন। বিদেশি মদের পাশাপাশি একাধিক মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয় তাঁর বাড়ি থেকে। এর পরেই হেফাজতে নেওয়া হয় পরীমণিকে। পরীমণির দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার আরও দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর আদালত চত্বরে প্রাণপণে চিৎকার করে তিনি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তা ১০০ শতাংশ মিথ্যে।’’
ওপার বাংলার একাধিক সংবাদমাধ্যমের বর্ণনা অনুযায়ী, আদালত থেকে বেরিয়ে আসার সময় কঠোর নিরাপত্তার বলয় ঘিরে রাখে বাংলাদেশের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা তারকাকে। তখনই সেখানে উপস্থিত সাধারণ মানুষ এবং সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাকে একটা মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কী করছেন আপনারা? তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছেন।”
পরীমণির সমর্থনে আগেই সরব হয়েছিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও নাম।