পুনম পাণ্ডে। ছবি: সংগৃহীত।
শুক্রবার থেকে গোটা নেটদুনিয়া তোলপাড় পুনম জীবিত না কি মৃত! গোটা একটা দিনের টানটান ‘সাসপেন্স’। এক দিন পার করে প্রকাশ্যে এসে পুনম জানিয়েছেন, তিনি বেঁচে আছেন। আসলে এই গোটাটই একটা প্রচার কৌশল, থুরি জরায়ু-মুখের ক্যানসার নিয়ে সচেতনা বৃদ্ধির হাতিয়ার। ভারতে ফি বছর জরায়ুমুখের ক্যানসারে লাখ লাখ মহিলা আক্রান্ত হন। তাঁদের মুখ হয়ে এলেন পুনম। যদিও নিজের এই মিথ্যার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
শনিবার সকাল থেকেই ভিডিয়োর মাধ্যমে কখনও পোস্ট দিয়ে জরায়ু-মুখের ক্যানসার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। পাশপাশি এটাই স্পষ্ট করেছেন, কাউকে আঘাত দেওয়া নয় বরং বিশ্বব্যাপী মহিলাদের মধ্যে এই রোগ যে দ্রুততার সঙ্গে ছড়াচ্ছে, তাঁর জন্য এটুকু আপস করাটা কোনও ব্যাপার না। পুনমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই জরায়ু-মুখের ক্যানসার নিয়ে সর্বত্র যে ভাবে লেখালিখি শুরু হয়ে তাতে বরং খুশি অভিনেত্রী। পাশপাশি তাঁর এই উদ্যোগকে যাঁরা নিম্নরুচির পরিচয় বলে দেখছেন, তাঁদেরকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, খোলামনে তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য। পুনমের কথায়, ‘‘আমি প্রথমেই সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব। আমাকে এমন এক পন্থা অবলম্বন করতে হল। যাঁরা আমার সমালোচনা করতে চান, আপনাদের আটকাব না। সারা বিশ্বে মহিলাদের মধ্যে এই জরায়ু-মুখের ক্যানসার ব্যাধি আকার ধারণ করেছে। এমন একটা গুরুতর বিষয়। তবু এখনও পর্যন্ত তেমন সচেতনতা নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর সেই কারণেই এমন একটা পদক্ষেপ করতে বাধ্য হলাম। অন্তর্বতী বাজেট পেশের দিন অর্থমন্ত্রী মহিলাদের এই ক্যানসার থেকে অব্যহতি টিকাকরণের নিবন্ধিকরণ নিয়ে কথা বলেন। তবু যেন সংবাদমাধ্যমের নজরে আসতে পারেনি। শেষমেশ মনে হল, আমার মৃত্যুর খবর যদি কিছু পরিবর্তন ঘটাতে পারে। সেই জন্যই এমন কাজ করেছি। আমার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পর প্রায় ৫০০-এর বেশি প্রতিবেদন লেখা হয়েছে। তাতে আমি খুশি। এটুকুই ছিল আমার উদ্দেশ্য।’’