জীবনের ৫৪টা বসন্ত পার করে ফেলেছেন সলমন খান। আজও তিনি অবিবাহিত। তাঁর জীবনে কখনও ফাগের রং নিয়ে এসেছেন ঐশ্বর্যা আবার কখনও ক্যাটরিনা কইফ। কিন্তু জানেন কি, তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ!
সোনাক্ষী সিনহার জন্য বাবা সেলিম খান এবং ভাই আরবাজ এবং সোহেলের সঙ্গে মিলে নাকি সলমন ধর্ষণ করেছিলেন মডেল-অভিনেত্রী পূজা মিশ্রকে, এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন পূজা নিজেই।
কে এই পূজা? ১৯৮২ সালের ১১ মার্চ বিহারের মুঙ্গেরে জন্ম নেন পূজা। ছোটখাটো মডেলিং দিয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করলেও টিভিতে তাঁর আত্মপ্রকাশ এক টিভি-শোর মধ্য দিয়েই। সেই টক-শোতে প্রতিযোগীদের সম্পর্ক নিয়ে নানা পরামর্শ দিতেন পূজা।
এর পর 'মেরে দিল লেকে দেখো' নামে একটা ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন পূজা। বিগ বস-৫ সিজনেও তাঁকে দেখা গিয়েছিল প্রতিযোগী হিসেবে।
কিন্তু সেখানেও সহ প্রতিযোগীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় তাঁকে সেই শো থেকে বের করে দেওয়া হয়।
২০১৭-১৮ সালে সারা বিশ্বে যখন #মিটু ঝড় উঠেছে তখন বলি অভিনেত্রীরাও একে একে মুখ খুলতে থাকেন ক্রমশ। আর সেই সময়েই মুখ খোলেন পূজাও। সরাসরি আঙুল তোলেন বলিউডের 'খান'দানের দিকে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পূজা বলেন, গত দশ বছর ধরে তাঁর কেরিয়ার ইচ্ছে করে নষ্ট করে আসছেন খান পরিবার। ২০০৯-এ 'দবং' ছবিতে চরিত্র দেওয়ার মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক ফার্মহাউজে নাকি গোটা খান পরিবার তাঁকে প্রতিদিন ধর্ষণ করত, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, একই ঘরে সলমন, আরবাজ এবং সোহেল এবং তাঁদের বাবা সেলিম খান মিলে ধর্ষণ করেছিলেন তাঁকে। ঘরে উপস্থিত ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহাও। মেয়ে সোনাক্ষিকে যাতে 'দবং' ছবিতে কাস্ট করা হয় সেই কারণেই নাকি এই পাশবিক কাজে উৎসাহ দিয়েছিলেন তিনিও।
শুধু খান পরিবারের উপরেই নয়। পূজা আঙুল তুলেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহার দিকেও। তাঁর অভিযোগ ছিল পূজার কেরিয়ার নষ্ট করার জন্য নাকি ব্ল্যাক ম্যাজিকও করেছিলেন তাঁরা। সে কারণেই নাকি তিনি দুঃস্বপ্ন দেখতেন, তাঁর মনে হত কোনও কালো ছায়া তাঁকে ঘিরে আছে সবসময়।
এখানেই শেষ নয়, খান পরিবারের প্রাক্তন বধূ মালাইকা অরোরাকেও আক্রমণ করেছিলেন পূজা। মালাইকা নাকি তাঁর আইডিয়া চুরি করেছেন এমনই অভিযোগ ছিল তাঁর।
সে সময় থানায় খানদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন পূজা। সেই ছবি শেয়ার করেছিলেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলেও। বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগে কেঁপে উঠেছিল বি-টাউন।
যদিও গোটা ঘটনাটী নিয়ে আজ পর্যন্ত মুখ খোলেননি সলমন, সেলিমরা। তবে খেসারত দিতে হয়েছিল পূজাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উলটে তিনিই ট্রোলড হয়েছিলেন।
তাঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে, প্রচারের আলোতে থাকার জন্যই এমনটা করছেন তিনি, এমনটাই বলেছিলেন সাধারণ মানুষ। যে টুকু যা কাজ করতেন বলিউডে তাও ক্রমে চলে যেতে থাকে পূজার কাছ থেকে। যদিও নিজের ইউটিউবে আজও তিনি সক্রিয়। মাঝে মাঝেই পোস্ট করেন নিজের কথা। তাঁর চ্যানেল ঘাঁটলে আজও দেখা যাবে পূজার সেই সব বোমা ফাটানো ভিডিয়োগুলি।
সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বজনপোষণ তিরে যে সমস্ত সেলেব ক্রমাগত বিদ্ধ হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ভাইজান সলমন খান। কারণে-অকারণে উঠে আসছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও। তাই হঠাৎ করেই আরও একবার ভাইরাল হয়ে গিয়েছে খান পরিবার এবং পূজার তরজার ভিডিয়োগুলিও।