বি-টাউন সেলেবদের প্রেম নিয়ে যদি কথা হয়, তা হলে তা থেকে অক্ষয় কুমারকে বাদ দেওয়া কোনওভাবেই যায় না। এমন কোনও অভিনেত্রী মনে হয় খুঁজে বার করা সম্ভব নয়, যাঁদের সঙ্গে অক্ষয় কাজ করেছেন অথচ প্রেম করেননি!
রবিনা, টুইঙ্কল, শিল্পা এমনকি রেখার সঙ্গেও নাম জড়িয়েছে অক্ষয়ের। তেমনই আরও একটা নাম হল পূজা বাত্রা।
১৯৯৭ সাল। 'বিরাসত'-এর সেই মিষ্টি নায়িকাকে বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক অনিল কপূরের প্রেমিকা হিসেবে তাঁকে পর্দায় দেখা গিয়েছিল সেই ফিল্মে। সেটি ছিল পূজা বাত্রার প্রথম সফল ছবি।
কিন্তু বলি ইন্ডাস্ট্রিতে পূজার সাফল্য আসার অনেক আগে থেকেই চর্চায় চলে এসেছিলেন তিনি। কারণটা ছিল অক্ষয় কুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক।
অক্ষয় এবং পূজা দু’জনেই একে অপরকে অনেক আগে থেকেই চিনতেন। বলিউডে আসার আগে পূজা মডেলিং করতেন। তখন থেকেই দু’জনের পরিচয়।
প্রথমে পার্ট টাইম কাজ হিসাবেই মডেলিং করতেন পূজা। অক্ষয়ও তখন অভিনয়ে তেমন সাফল্য পাননি।
১৯৯৫ সালে প্রথম হিন্দি ফিল্ম করেন পূজা। তার দ্বিতীয় ফিল্মটাই ছিল ‘বিরাসত’। কিন্তু ‘বিরাসত’-এর আগে থেকেই উঠতি অভিনেতা অক্ষয়ের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে যায়।
দু’জনকে প্রায়ই একসঙ্গে দেখা যেতে শুরু করে। অনেকেই মনে করেছিলেন, পূজা বাত্রার সঙ্গেই বোধ হয় অক্ষয় সম্পর্ক স্থায়ী হবে।
কিন্তু সকলকে ভুল প্রমাণ করে এই সম্পর্ক খুব বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। কেন তাঁদের মধ্যে আচমকা বিভেদ তৈরি হল, তা নিয়ে তাঁরা কোনওদিন মুখও খোলেননি।
তবে ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন, এর পিছনে ছিল অক্ষয় কুমারের সাফল্য। দু’জনে প্রায় এক সঙ্গে কেরিয়ার শুরু করলেও অক্ষয় কুমার খুব দ্রুত সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে শুরু করেছিলেন।
সাফল্য এবং জনপ্রিয়তায় ক্রমে অক্ষয়ের থেকে পিছিয়ে পড়েছিলেন পূজা। সে কারণেই নাকি দু’জনের মধ্যে দূরত্ব শুরু হয়।
২০০১ সালে টুইঙ্কল খন্নাকে বিয়ে করেন অক্ষয় কুমার। ঠিক তার পরের বছরই ২০০২ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার এক অর্থোপেডিক সার্জনকে বিয়ে করেন পূজা।
টুইঙ্কলের মধ্যে অক্ষয় সত্য ভালবাসার মানুষকে খুঁজে পেলেও পূজার জীবন কিন্তু তেমন হয়নি। ২০১০ সালে পূজা তাঁর স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দেন।
গত বছর জনপ্রিয় অভিনেতা নবাব বাদশাকে বিয়ে করেছেন পূজা বাত্রা।
বিয়ের পর সংবাদমাধ্যমে পূজা বলেন, “বিয়েটা সেরেই ফেললাম। দুই পরিবার এক হয়ে আমাদের চার হাত এক করেছেন। আমাদের ভালবাসা যেন বলছিল, বিয়েতে আর দেরি কেন? তখনই মনে হল, নবাব সেই পুরুষ যাঁর জন্য এত দিন অপেক্ষায় ছিলাম। যখন তাঁকে পেয়েছি, তখন বিয়েটা সেরে ফেলাই ভাল।”