Payel Sarkar in New York

বাকি অভিনেত্রীদের মতো সমাজমাধ্যমে নিজেকে জাহির করতে চাই না: পায়েল সরকার

“আমার আন্তর্জাতিক লাইসেন্স নেই। তবে খুব তাড়াতাড়ি লাইসেন্স করিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে”, কেন বললেন অভিনেত্রী?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৫৯
Share:

নিউ ইয়র্কে পায়েল সরকার। ছবি: সংগৃহীত।

“এখানে আবহাওয়া এত মনোরম। হালকা জ্যাকেট পরে দিব্য চলে যাচ্ছে।” হয়েছে কী, মার্কিন মুলুকে ঝটিকা সফরে পৌঁছে গিয়েছেন টালিগঞ্জের অভিনেত্রী পায়েল সরকার। সেখান থেকেই ফোনালাপ চলল আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে। কাজ আর ভ্রমণ দুই-ই চলেছে সমানতালে। সুচিত্রা সেনের সম্মাননায় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছিল নিউ ইয়র্কে। সেখানে ‘বড়বাবু’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত হন তিনি। সেই পুরস্কার নিতেই আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছেন অভিনেত্রী।

Advertisement

১৯ এপ্রিল রওনা দিয়েছিলেন। প্রথম দু’দিন বেড়াতে যাওয়ার ফুরসত পাননি। কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হতেই ছোট্ট ব্যাগপ্যাক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। ঢুঁ দিয়েছেন শহরের নানা প্রান্তে। পায়েল বললেন, “নিউ ইয়র্ক সাজানো শহর।” বিদেশে গিয়েছেন আর কেনাকাটা হবে না, তা কি হয়! এই প্রসঙ্গে পায়েলের বক্তব্য, “একটু-আধটু কেনাকাটা তো হবেই। কিছু ব্র্যান্ডেড জামা আর জুতো কিনেছি।”

নিউ ইয়র্কে পায়েল সরকার। ছবি: সংগৃহীত।

কিন্তু বিদেশ-বিভূঁইয়ে কার সঙ্গে ঘুরছেন অভিনেত্রী? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে পায়েলের উত্তর, “নিউ ইয়র্কে আমার অনেক প্রবাসী বাঙালি বন্ধুবান্ধব রয়েছে। তাদের আন্তরিকতা দেখলে রীতিমতো মুগ্ধ হতে হয়।” বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার পাশাপাশি একা ঘুরতে যেতেও ভালবাসেন অভিনেত্রী। বললেন, “একা ঘুরতে যাওয়াটা আমার কাছে সব থেকে পছন্দের বিষয়। আত্মোপলব্ধির অবকাশ মেলে। মানুষ পর্যবেক্ষণ করা যায়।”

Advertisement

বিদেশের রাস্তাঘাট এত সুন্দর, গাড়ি চালিয়ে শহর ঘুরে দেখার ইচ্ছে তাঁর। সমস্যা হল তাঁর “গাড়ি চালানোর আন্তর্জাতিক লাইসেন্স নেই।” তবে খুব তাড়াতাড়ি লাইসেন্স করিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। “পরের বার এসে একা গাড়ি নিয়ে ঘুরব”, বললেন অভিনেত্রী। সমাজমাধ্যমের জমানায় মানুষ কখন কী করছেন, প্রতি মুহূর্তে জানান দিচ্ছেন। বিনোদন দুনিয়ার মানুষ দর্শকের নজরে থাকার জন্য ক্রমাগত নিজেদের জীবনের খুঁটিনাটি সমাজমাধ্যমে দিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে পায়েল কি ব্যতিক্রমী? অভিনেত্রীর সটান উত্তর, “সমাজমাধ্যমে আমার অবস্থান নিয়ে কোনও প্রতিযোগিতা নেই। আমি নিউ ইয়র্কে এসেছি, সেটা সকলের কাছে জাহির করার তো কোনও প্রয়োজন নেই। বাকি অভিনেত্রীদের মতো সমাজমাধ্যমে প্রতি মুহূর্তের আপডেট দিচ্ছি না মানে, এই নয় যে তাঁদের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছি আমি। এটা হাস্যকর। দর্শকের সঙ্গে আমার দূরত্ব তৈরি হয়ে যাবে, এমনটাও নয়।”

অভিনেত্রী আরও বললেন, “সমাজমাধ্যম এমন একটি ক্ষেত্র যা সর্বতোভাবে স্বতন্ত্র ও ব্যক্তিগত। আমিও মাঝেমধ্যে কাজের বিষয়ে পোস্ট করি। কিন্তু পরিচিতি পাওয়ার মাপকাঠি হিসেবে ব্যবহার করতে পারব না সমাজমাধ্যমকে। এখানে অনেক সুন্দর ছবি তুলেছি। কখনও ইচ্ছে হলে পোস্ট করব। এত ভাবি না এ সব নিয়ে।”

বেড়ানো, কেনাকাটার সঙ্গে খাওয়াদাওয়াও চলছে জমিয়ে। নিউ ইয়র্কে তাঁর পছন্দের একটি রেস্তরাঁ রয়েছে, যেখানে উত্তর ভারতের নানা খাবারের পদ পাওয়া যায়। তবে তিনি গ্রিলড খাবার পছন্দ করেন, তাই এ বার একটি মালেশীয় রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া সেরেছেন। রবিবার রাত্রে কলকাতায় ফিরছেন অভিনেত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement