শাহরুখকে জীবিত পুড়িয়ে ফেলার হুমকি। সংগৃহীত।
‘পাঠান’ ছবি অশ্লীল। এই ছবি বয়কটের রব তোলেন মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। সেই আগুন ধিকিধিকি ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। মধ্যপ্রদেশের পর ‘পাঠান’ ছবি নিয়ে সবচেয়ে বেশি বির্তক হয়েছে অযোধ্যা শহরে। শাহরুখ খান-দীপিকা পাড়ুকোনের পোস্টার পোড়ানো হয় সে শহরে। এ বার অযোধ্যার রাস্তায় এই ছবির প্রতিবাদে নামেন সেখানকার তপস্বী ছাবনীর সাধুরা। সেখানেই পরমহংস আচার্য বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন। শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা হলে তাঁকে জীবিত পুড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি শাহরুখ খানকে খুঁজছি।’’
‘পাঠান’ ছবি ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত ‘বেশরম রং’ গানে দীপিকা পাড়ুকোনের গেরুয়া বিকিনি থেকে। ছবির প্রথম গান প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ‘অশ্লীল’ বলে দাগিয়ে দেওয়া হয়। অযোধ্যার ওই সাধু পরমহংস আচার্য জানান, ছবিতে গেরুয়া রঙের অপমান করা হয়েছে। ক্রমাগত সনাতম ধর্মের অপমান করা হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করা যেন একটা ধারাতে রূপান্তরিত হয়েছে। পরমহংস আচার্য আক্রোশের সঙ্গে বলেন, ‘‘আজকে শুধু ওঁর পোস্টার পুড়িয়েছি। আমি খুঁজছি ওঁকে, যে দিন সামনাসামনি দেখা পাব, পুড়িয়ে দেব জিহাদি শাহরুখ খানকে।’’
এখানেই থেমে থাকেননি এই সাধু। তিনি বলেন, ‘‘এই ছবি মুক্তি পেলে সিনেমাহল পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেব।’’ জানান, সনাতন ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা, রসিকতা করলে প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
শুধু গেরুয়া শিবির নয়, বেশ কয়েকটি দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দল, এমনকি, কংগ্রেসেরও একাংশ ‘পাঠান’ নিষিদ্ধ করার দাবিতে সোচ্চার। বেশ কিছু মুসলিম সংগঠনও একই সুরে গলা মিলিয়েছে।