(বাঁ দিকে) পরিণীতি চোপড়া (ডান দিকে) রাঘব চড্ডা। ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার গোধূলি লগ্নে বিয়ে। তার পর প্রায় গোটা সন্ধ্যা কেটে গিয়েছে তখনও প্রকাশ্যে আসেনি নবদম্পতির বিয়ের ছবি। একটা লম্বা সময় পর মাঝরাতে এল রাঘব-পরিণীতির প্রথম ছবি। যদিও বিয়ের ছবি এসেছে সোমবার সকালে। মাঝরাতে ছবিটি ছিল তাঁদের ‘রিসেপশন পার্টি’র। গোলাপি সিমারি শাড়িতে পরিণীতি, খুব বেশ রূপটানের ছোঁয়া নেই। গলায় চোকার, সিঁথিতে চিলতে সিঁদুর ও হাতের গোলাপি চূড়া। স্ত্রীকে বাহুডোরে আগলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রাঘব। অভিনেত্রীর এই ছবি দেখেই কটাক্ষের শুরু। নেটাগরিকরা মোটেও ভাল ভাবে নেননি অভিনেত্রীর এমন হালকা সাজপোশাক।
বিয়ের পোশাক হবে প্যাস্টেল রঙের। বলিউডে এই প্রথা শুরু করেন অনুষ্কা শর্মা। তার পর একে একে সব অভিনেত্রীই প্রায় সেই পথে হেঁটেছেন। যেমন আলিয়া ভট্ট, কিয়ারা আডবাণী, পরিণীতি চোপড়া। তবে অনুষ্কা ও আলিয়ার পোশাক ছাড়া এমন হালকা রঙের লেহঙ্গায় নতুন কনে বেমানান বলেই মনে করেছেন অধিকাংশ নেটাগরিক। তাই কিয়ারা আডবাণী বিয়ে ও রিসেপশনের সাজ পোশাক নিয়ে যেমন কটাক্ষের হয়েছিল। সেই একই ঘটনার পুনারবৃত্তি হল পরিণীতির ক্ষেত্রে। বিয়ে মানেই যে ভারী গয়না, খুব ঝলমলে পোশাক— তার বাইরে গিয়ে সাদামাটা সাজেই আস্থা রাখছেন অভিনেত্রীরা সেটা আবার নেটাগরিকদের বিশেষ মনে ধরেনি। তাই কেউ পরিণীতির উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‘কে বলবে ইনি নতুন কনে।’’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘‘এত সাদামাটা সাজ মনেই হচ্ছে না নতুন বিয়ে হয়েছে।’’ যদিও এর মাঝেই অভিনেত্রী পক্ষ নিয়ে একাংশ। তাঁরা আবার পরিণীতির হয়ে জবাব দিয়েছেন ট্রোলারদের। দুপুরে বিয়ে, রাতে রিসেপশন, তাই এত তাড়াহুড়ো হয়তো খুব বেশি সাজগোজের সময় পাননি অভিনেত্রী — এমনই ধারণা একাংশের। রবিবার ধুমধাম করে বিয়ের পর সোমবার দুপুর নাগাদ স্বামীর হাত ধরে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন নায়িকা।