মহাকালের মন্দিরে পরিণীতি-রাঘব। ছবি: সংগৃহীত।
খানিকটা হুট করেই রাঘব চড্ডা ও পরিণীতি চোপড়ার সম্পর্কের খবর পাঁচকান হয়। খবর ছড়াতেই বাগ্দান সেরে ফেলেন যুগল। সামনেই বিয়ে। শোনা যাচ্ছে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন নায়িকা। রাজস্থানের উদয়পুরের রাজকীয় প্রাসাদে বসবে বিয়ের আসর। বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করার আগেই শনিবার মহাকাল মন্দিরে পুজো দেন পরিণীতি। সঙ্গে ছিলেন হবু স্বামী রাঘবও। বলিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে ক্রীড়াজগতের লোকেদের প্রেম বহু বছর ধরে চলে আসছে। তবে বলিউডের অন্যতম চর্চিত নায়িকা হয়ে পরিণীতি কেন রাজনীতিক রাঘবের গলায় মালা দেবেন বলে ঠিক করলেন? বিয়ের দিন কয়েক আগেই খোলসা করলেন অভিনেত্রী।
এমনিতেই রাঘব ও তাঁর সম্পর্ক নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে করতে নারাজ অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরিণীতি জানান, প্রেমের বিষয়ে তিনি ভীষণ বাস্তববাদী। অবাস্তব কিছু তাঁর মন কাড়ে না। একে অপরের প্রতি আস্থা রাখা, একে অপরের ভাল-মন্দে পাশে থাকা এবং তিনি যেমন ঠিক তেমন ভাবেই নিজেকে তাঁর সামনে মেলে ধরাটা কাম্য। এই গুণগুলি তিনি রাঘবের মধ্যেও দেখেছেন। আসলে, রাঘব-পরিণীতি দুজনেই বাস্তবাদী মানুষ। লোকদেখানোয় কেউই বিশ্বাসী নন।
তবে বিয়েতে এলাহি বন্দোবস্ত করছেন আপ নেতা। রাজস্থানের এক বিলাসবহুল প্রাসাদ বা হোটেলে সাত পাক ঘোরার পর একটি বা দু’টি নয়, তিনটি শহরে রিসেপশন পার্টির পরিকল্পনা রয়েছে যুগলের। দিল্লিতেই জন্ম রাঘবের। সেখানেই বড় হয়ে ওঠা। তাঁর বেশির ভাগ আত্মীয়-পরিজন এবং বন্ধু রাজধানীর বাসিন্দা। তাই দিল্লিতে একটি রিসেপশন পার্টি থাকছেই। তবে খাস দিল্লিতে নয়, গুরুগ্রামের এক বিলাসবহুল হোটেলে হতে চলেছে সেই আয়োজন। খবর, ইতিমধ্যেই গুরুগ্রামের ‘দ্য লীলা অ্যাম্বিয়েন্স’ হোটেলে রিসেপশন পার্টির মেনু চূড়ান্ত করার জন্য গিয়েছিলেন পরিণীতির মা-বাবা। এ ছাড়াও মুম্বইতেও একটি প্রীতিভোজের আয়োজন করছেন তাঁরা। তার পরে চণ্ডীগড়েও একটি রিসেপশন হবে।