পরিণীতি চোপড়া ও রাঘব চড্ডা। ছবি: সংগৃহীত।
চার মাসের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে রবিবার আম আদমি পার্টি তথা আপের সাংসদ রাঘব চড্ডার সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছেন পরিণীতি চোপড়া। রাজস্থানের উদয়পুরে লেক পিচোলার ধারে চার হাত এক হয়েছে যুগলের। শনিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল বিয়ের নানা অনুষ্ঠান। রবিবার সারা দিন সমাজমাধ্যমের পাতায় একাধিক ছবি ও ভিডিয়ো দেখে উৎসাহ আরও বেড়েছিল অনুরাগীদের। বলিউড অভিনেত্রীর বিয়ে বলে কথা, ছবির অপেক্ষায় ধৈর্য ধরে বসে ছিলেন তাঁরা। সন্ধে পেরিয়ে রাত গড়াতেও ছবির দেখা নেই। বেশ কিছু ফাঁস হওয়া ছবি দেখেই রবিবার মন ভরাতে হয়েছিল নেটাগরিকদের। সোমবার সকালে অনুরাগীদের চমকে দিয়ে নিজেদের বিশেষ দিনের ছবি সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নিলেন নবদম্পতি।
বলিউডের জনপ্রিয় পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্রের ডিজ়াইন করা পোশাক পরে রাঘবের সঙ্গে সাত পাক ঘুরলেন অভিনেত্রী। পরিণীতির হাতে গোলাপি রঙের চূড়া দেখে ভাবা হয়েছিল হয়তো গোলাপি পোশাকেই সেজেছেন তিনি। ছবিতে দেখা গেল পরিণীতির সোনালি রূপ। মণীশের ডিজ়াইন করা সোনার রঙের লেহঙ্গা, গলায় পান্নার ভারী গয়না, সঙ্গে রাঘবের নাম লেখা মাথার ওড়নায় সেজেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী। দিদি প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার অনুপ্রেরণা থেকেই এমন ভেলের অবতারণা। নিজের ‘হোয়াইট ওয়েডিং’-এর জন্য নিক জোনাসের নাম লেখা ভেল পরেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। বিয়ের অনুষ্ঠানে তাঁর প্রিয় মিমি দিদি উপস্থিত না থাকলেও তাঁকে ভোলেননি পরিণীতি। শুধু সাজগোজ নয়, পরিণীতির বিয়ের রীতিতেও প্রিয়ঙ্কার ছোঁয়া। গতে বাঁধা রাস্তায় নয়, অল্টার দিয়ে হেঁটে এসে অপরের গলায় মালা পরান রাঘব ও পরিণীতি। সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে ধরা পড়েছে তা।
বিয়ের পরে রিসেপশন পার্টিতে পরিণীতি ও রাঘব। ছবি: সংগৃহীত।
গত ১৩ মে নয়াদিল্লির কপূরথলা হাউসে রাঘবের সঙ্গে বাগ্দান সেরেছিলেন অভিনেত্রী। গত সপ্তাহের প্রথম দিকে মুম্বই থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন নায়িকা। উদয়পুরে পা রাখার আগে রাজধানীতে রাঘবের বাড়িতে আয়োজন করা হয়েছিল বেশ কিছু অনুষ্ঠানের। সেই অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল একটি ক্রিকেট ম্যাচও। বিয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আগে ক্রিকেটের মাঠে মুখোমুখি হয়েছিলেন চোপড়া ও চড্ডা পরিবারের সদস্যরা। দিল্লিতেই আয়োজন করা হয়েছিল সুফি গানের অনুষ্ঠানও। শুধু তাই-ই নয়,বাগ্দানের মতো বিয়ের অনুষ্ঠানের আগেও আরদাস ও কীর্তনের আয়োজন ছিল দুই পরিবারের তরফেই।
গত শনিবার উদয়পুরের বিলাসবহুল হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল একটি ‘ওয়েলকাম লাঞ্চ’-এর মাধ্যমে। তার পরে গায়েহলুদ, সঙ্গীত ও মেহেন্দি। রাঘব ও পরিণীতির সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন নামজাদা গায়ক নবরাজ হংস। সঙ্গীতের অনুষ্ঠানের জন্য নব্বইয়ের দশকের নস্টালজিয়া জড়ানো থিম পার্টির আয়োজন করেছিলেন হবু দম্পতি। সেই পার্টিতেই ছিল ম্যাগি ও ক্যান্ডি ফ্লসের কাউন্টারও। আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য উপহারে ছিল গানের ক্যাসেট। খবর, সেই ক্যাসেটের প্লেলিস্ট নাকি তৈরি করেছিলেন পরিণীতি নিজে।