পরাণের নাতনি পৃথা; পরাণ
ছবির নাম হতেই পারত ‘পরাণ আর তার গার্লফ্রেন্ড’! বদলে হল ‘সেদিন কুয়াশা ছিল’। অর্ণব মিদ্যার আগামী অ্যান্থলজিতে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয়ে হাতখড়ি হচ্ছে বাস্তবের ‘পরাণ-প্রিয়া’ পৃথা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাড়িতে সারা ক্ষণ খুনসুটি, দাদুকে শাসন! এ বার পর্দাতেও পরাণকে শাসন করতে ক্যামেরার সামনে নাতনি পৃথা। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল দাদু-নাতনি দু'জনের সঙ্গেই। কী বলছেন তাঁরা? কণ্ঠস্বর বলে দিচ্ছে, গর্বে, আনন্দে দাদুর বুক ফুলে ৫৬ ইঞ্চি! তাঁর দাবি, ‘‘আমি তো সিনেমাতেই বাঁচি। আমার গার্লফ্রেন্ডও পা রাখল এ বার। আনন্দের চোটে কথার খেই হারিয়ে ফেলছি!’’ পরাণকে ছাপিয়ে গিয়েছে তাঁর ছ’বছরের একরত্তি নাতনি। হাসতে হাসতে বলেছে, ‘‘মা-বাবা, পড়শিরা সবাই খুব খুশি। বলছে, এ বার এক বাড়িতে দুই তারকা!’’
নাতনির অভিনয়-যোগ কী ভাবে? প্রশ্ন ছিল দাদুর কাছে। পরাণ জানিয়েছেন, ছবিতে পৃথার বয়সী এক জন শিশু শিল্পীর প্রয়োজন ছিল। বাড়িতে চিত্রনাট্য শোনাতে এসে পরিচালকের চোখে পড়ে যায় নাতনি। ‘‘পৃথা খুবই মিশুকে। সবার সঙ্গে কথা বলে। অভিনয়েও প্রচণ্ড আগ্রহ। আমি সপ্তাহে তিন দিন বাড়িতে নাটকের মহড়া দিই। ও বসে বসে দেখে। তার পর আমার সঙ্গে আলাদা করে অভিনয়ে মাতে। ফলে, যেই অভিনয়ের কথা ওঠে এক পায়ে খাড়া আমার ‘প্রেমিকা’!’’ ছবিতেও পৃথা পরাণের নাতনির ভূমিকাতেই অভিনয় করবে। বিপরীতে লিলি চক্রবর্তী।
ফোনের ওপারে খুশিতে ঝলমলিয়ে উঠেছে একরত্তির গলা। পৃথা বলেছে, ‘‘দাদু আমায় একটু দেখিয়ে দিয়েছে। বাকিটা আমি নিজেই করেছি। তিন দিন শ্যুটিং করেছি। খুব মজা হয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি আগামী দিনে অভিনয়ও করব। আমার অভিনয় করতে খুবই ভাল লাগে।’’
মা-বাবা নবনীতা-পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ও খুশি। নবনীতার কথায়, ‘‘দাদুর সঙ্গে এক ছবিতে অভিনয় করবে ভাবতে পারিনি। শুরুটা খুবই ভাল হল। আগামী দিনে কী হবে, সেটাই দেখার।’’ কিছু দিন আগেই দেবের ‘টনিক’ ছবিতে ভেল্কি দেখিয়েছেন আশি উত্তীর্ণ পরাণ। সেখানেও এক জন শিশু শিল্পী অভিনয় করেছে। ওই ছবিতে পৃথা থাকলে বেশি খুশি হতেন? নবনীতার কথায়, ‘‘একেবারেই নয়। যা হল তাতেই আমি খুশি। শুরুটা তো হল, এই যথেষ্ট।’’