পরমব্রত-শুভশ্রীর সঙ্গে স্যমন্তক
গত বছর ‘পরিণীতা’ দিয়ে শুধুই শুভশ্রীর কামব্যাক হয়নি। আলাদা আলাদা মোড়কে সময়োপযোগী কনটেন্ট তুলে ধরতে রাজ চক্রবর্তীও বদ্ধপরিকর। তাঁর শেষ কয়েকটি ছবি দেখলে তা স্পষ্ট। বাইপাস সংলগ্ন বিলাসবহুল আবাসনের দু’টি ফ্ল্যাট জুড়ে শুট চলছিল পরিচালকের নতুন ছবি ‘হাবজি গাবজি’র।
ছবিতে দম্পতির চরিত্রে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং শুভশ্রী। তাঁদের সন্তানের চরিত্রে স্যমন্তক দ্যুতি মৈত্র। ছোট পর্দার পাশাপাশি ‘মাছের ঝোল’, ‘বরুণবাবুর বন্ধু’, ‘বিনিসুতোয়’-এ কাজ করেছে স্যমন্তক। রাজের কথায়, ‘‘ছোটবেলা থেকে যে বাচ্চারা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ে, তাদের চোখের সারল্য হারিয়ে যায়। এ ছাড়া তুখড় অভিনয়ও করতে হবে। এই দু’টি দিক দেখে স্যমন্তককে বাছা হয়েছে।’’ স্যমন্তকের ছোটবেলার চরিত্রে দেখা যাবে কাঞ্চন মল্লিকের ছেলে আয়ুষকে। ওই দিন অবশ্য সে সেটে ছিল না। ‘‘কাঞ্চনের ছেলে আসলে একেবারে পরমের ছোটবেলা। খুব জ্ঞানী, ঝরঝরে ইংরেজিতে কথা বলে। আমি-পরম ওকে কী ভাবে সামলাব, ভেবেই চিন্তিত,’’ মজার ছোঁয়া রাজের কণ্ঠে।
তবে এই ছবির সেটে মজা করার সুযোগ পাচ্ছেন কোথায় পরমব্রত-শুভশ্রী? শটের ফাঁকে শুভশ্রী বললেন, ‘‘চরিত্র থেকে যতটা কম বেরোনো যায়, সেই চেষ্টা করি। এখন আর আগের মতো অনেক দিন ধরে শুট হয় না। সকলেই সিরিয়াস। আড্ডা দেওয়ার সময় কম।’’ লাঞ্চের বিরতিটুকু ছাড়া পরিচালককেও বেশ ব্যস্তই দেখা গেল। কখনও নিজে অভিনয় করে দেখাচ্ছেন, কখনও বা টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে একটু খুঁটিনাটি ঝালিয়ে নিচ্ছেন। আবার আনন্দ প্লাসের জন্য ফোটোশুটের কো-অর্ডিনেটর হিসেবেও অবতীর্ণ হলেন তিনি।
ছবি তোলার সময়ে স্যমন্তকের পিঠে হাত বুলিয়ে পরমব্রত বললেন, ‘‘ঠিক বয়সে বিয়ে করলে তোর বয়সি ছেলে হয়ে যেত আমার...’’ পাশ থেকে রাজের টিপ্পনী, ‘‘আমারও রুদ্রনীলের (ঘোষ) বয়সি ছেলে হয়ে যেত,’’ জোরে হাসি পরিচালকের গিন্নির। শটের ফাঁকে রাজ-শুভশ্রীকে দেখতে এসেছিলেন তাঁদের ঘরের লোক, জিলাটোও। পোষ্যকে নিয়ে পোজ় দিলেন কর্তা-গিন্নি।
এই ছবিতে প্রথম বার একসঙ্গে জুটি বাঁধছেন পরমব্রত এবং শুভশ্রী। পরমব্রতের কথায়, ‘‘এই সময়ের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী শুভশ্রী। ও যে ভাবে নিজেকে ভাঙছে, বোঝাই যাচ্ছে ও শুধু নায়িকা হয়ে থাকতে চাইছে না, পুরোদস্তুর অভিনেত্রী হয়ে উঠতে চাইছে।’’ ‘প্রলয়’-এর অনেক বছর পরে একসঙ্গে কাজ করছেন রাজ আর পরমব্রতও। তাঁদের জার্নির শুরু ছোট পর্দা থেকে। ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে পরমকে আমি খুবই পছন্দ করি,’’ বললেন রাজ।
এই ছবির মূল বিষয়, ছোটদের মোবাইল আসক্তি এবং বাবা-মায়েরাই কী ভাবে ছোটদের সেই পথে ঠেলে দিচ্ছে। যদিও পরমব্রত যখন স্যমন্তককে জিজ্ঞেস করলেন, সে কি মোবাইলে গেম খেলে? খুদে শিল্পীর উত্তর, ‘‘না, খুব একটা নয়।’’ তবে এই ছবি নেহাত ছোটদের নয়, বড়দেরও, মত রাজের।