(বাঁ দিক থেকে) ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, আব্দুল রজ্জাক, অমিতাভ বচ্চন। ছবি: সংগৃহীত।
দিন কয়েক আগে অভিনেত্রী ঐশ্বর্যা রাইকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার আব্দুল রজ্জাক। টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে এসে ঐশ্বর্যাকে বিয়ের করার স্বপ্ন দেখেন বলে জানান ক্রিকেট তারকা। এ দিকে ঐশ্বর্যার সংসারে অশান্তির খবর ভেসে এসেছে সম্প্রতি। অভিনেত্রী বচ্চনদের বাড়ির দীপাবলির পুজোতেও থাকেননি তিনি। পুজোর দিনই মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে শহর ছাড়লেন অভিনেত্রী! চলতি মাসের প্রথম দিকে নিজের ৫০তম জন্মদিন একাই কাটিয়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। কানাঘুষো, অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তাঁর। তবে বৌমাকে নিয়ে বিয়ের স্বপ্ন দেখার কথায় যেন ফের বৌমার পাশে দাঁড়ালেন অমিতাভ বচ্চন।
বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তানের বিদায়ের পরে সে দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে রজ্জাক বলেন, ‘‘যদি আমি ভাবি যে ঐশ্বর্যার সঙ্গে আমার বিয়ে হবে, তার পর সুন্দর সুন্দর সন্তান হবে, সেটা কি কখনও সম্ভব! আগে নিজের মানসিকতা ঠিক করতে হবে। বুঝতে হবে যে আমি কী চাই। না হলে ভাল ক্রিকেটারও তৈরি হবে না আর পাকিস্তানও জিততে পারবে না।’’ পাকিস্তানের ক্রিকেটের সঙ্গে ঐশ্বর্যাকে টেনে যে তুলনা করেন রজ্জাক, তাতে হতবাক হন অনেকে। হেসে ওঠেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকরা। অনেকে আবার সমালোচনা করেন তাঁর। তাঁদের মতে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনা করার সময়ে অন্য কোনও উদাহরণ দিতে পারতেন রজ্জাক। ঐশ্বর্যার মতো এক জন খ্যাতনামীর নাম টেনে ভাল করেননি তিনি। এতে তিনি নিজেকেই হাসির পাত্র করে তুলেছেন বলে মত আরও অনেকের। যদিও এই ঘটনা ঘটার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশ্যে ক্ষমা চান রজ্জাক। ক্রিকেট তারকা বলেন, ‘‘সে দিন আমরা ক্রিকেট ও কোচিং নিয়ে কথা বলছিলাম। সেই সময় ভুল করে আমি ঐশ্বর্যা রাইয়ের নাম নিয়ে ফেলি। আমার কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। পুরোটাই ভুল করে হয়েছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ওঁর (ঐশ্বর্যা) কাছে ক্ষমা চাইছি।’’ রজ্জাকের ক্ষমাপ্রার্থনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন অমিতাভ। অভিনেতা পোস্টে হেঁয়ালি করে লেখেন, ‘‘হাতজোড় করা ইমোজি, এর অর্থ ছাপার অক্ষরে লেখার থেকে গুরুত্বপূর্ণ।’’ তা হলে কি রজ্জাক ক্ষমা চাইতে বচ্চন পরিবার তাঁকে ক্ষমা করেছেন? সে কথাই কি বোঝাতে চেয়েছেন অভিনেতা? আবার উল্টো দিকে বেশ কয়েক দিন ধরে যে জল্পনা চলছিল বচ্চন পরিবারের সঙ্গে ঐশ্বর্যার দূরত্ব বৃদ্ধির! তাতেও জল ঢাললেন অমিতাভ!