Bollywood

শেষকৃত্যে ছিল না বলিউড, পদ্মভূষণজয়ী প্রবীণ অভিনেতার মৃত্যু হয়েছিল নিঃস্ব অবস্থায়

কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারে হাঙ্গলের জন্ম ১৯১৪ সালে। আজকের পঞ্জাবের শিয়ালকোটে। তাঁর বড় হওয়া পেশোয়ারে। স্থানীয় থিয়েটারে অভিনয় করেছেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকায়। যদিও জওহরলাল নেহরুর স্ত্রী কমলা নেহরুর আত্মীয় এ কে হাঙ্গল প্রথম জীবনে মূলত ছিলেন দর্জি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৯ ১০:৪৫
Share:
০১ ১২

কিছু কিছু অভিনেতা থাকেন, যাঁদের যুবক বয়সের চেহারা দর্শকদের মনে থাকে না। সেরকমই একজন অবতার কৃষণ হাঙ্গল। এই নামটা শুনলে স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের কিছু মনে পড়বে না। কিন্তু ‘এ.কে’ হাঙ্গল বললে মনে পড়বে চিরপরিচিত বৃদ্ধ মুখ। পদ্মভূষণজয়ী এই অভিনেতা মারা গিয়েছিলেন কপর্দকহীন অবস্থায়।

০২ ১২

কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারে হাঙ্গলের জন্ম ১৯১৪ সালে। আজকের পঞ্জাবের শিয়ালকোটে। তাঁর বড় হওয়া পেশোয়ারে। স্থানীয় থিয়েটারে অভিনয় করেছেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকায়। যদিও জওহরলাল নেহরুর স্ত্রী কমলা নেহরুর আত্মীয় এ কে হাঙ্গল প্রথম জীবনে মূলত ছিলেন দর্জি।

Advertisement
০৩ ১২

থিয়েটারে অভিনয়ের পাশাপাশি ১৯২৯ থেকে ১৯৪৭ সাল অবধি হাঙ্গল সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে। তাঁর বাবার অবসরের পরে সপরিবারে তাঁরা পেশোয়ার থেকে করাচি চলে এসেছিলেন।

০৪ ১২

দেশভাগের পরে ১৯৪৯ সালে অভিনেতার পরিবার চলে আসে সাবেক বম্বে, আজকের মুম্বই। বলরাজ সাহনি ও কইফি আজমির পাশাপাশি অভিনেতা হাঙ্গল অংশ নিয়েছিলেন আইপিটিএ আন্দোলনে। কট্টর মার্ক্সবাদী হওয়ার জেরে কারাবাসও হয়েছে তাঁর।

০৫ ১২

১৯৪৯ থেকে ১৯৬৫ অবধি একাধিক থিয়েটারে অভিনয় করেছেন তিনি। বেশ দেরি করেই, ৫২ বছর বয়সে শুরু ফিল্মি কেরিয়ার। ১৯৬৬ সালে প্রথম ছবি বাসু চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘তিসরি কসম’।

০৬ ১২

সব ছবিতেই তিনি হয় নায়ক নায়িকার অভিভাবক নয় তো জীবনযুদ্ধে শোষিত বৃদ্ধ। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে আছে ‘নমক হারাম’, ‘শোলে’, ‘হীর রঞ্ঝা’, ‘কোরা কাগজ’, ‘বাওরচি, ‘শওকিন’, ‘চিতচোর’, ‘বালিকা বধূ’, ‘গুড্ডি’, ‘শরারত’, ‘তেরে মেরে সপনে’ এবং ‘লগান’। তাঁর শেষ ছবি ‘পহেলি’।‘মঞ্জিল’ ও ‘প্রেম বন্ধন’ ছবি দু’টিতে তিনি ছিলেন খলনায়কের ভূমিকাতেও।

০৭ ১২

হাঙ্গলকে শেষ বার পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালে, ‘মধুবালা-এক ইশক এক জুনুন’ ছবিতে। ভারতীয় চলচ্চিত্রের শতবর্ষপূর্তিতে নির্মিত এই টেলিভিশন সিরিজে তাঁকে দেখা গিয়েছিল ক্যামিও রোলে। অভিনয় জগতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৬ সালে পেয়েছিলেন ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান।

০৮ ১২

জীবনের শেষ বসন্ত অবধি কাজ করে গিয়েছেন তিনি। ২০১১ সালে ফ্যাশন শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন। তার পরের বছর, মৃত্যুর কয়েক মাস আগে ডাবিং করেছিলেন ‘কৃ্ষ্ণ অউর কংস’ অ্যানিমেশন ফিল্মে, রাজা উগ্রসেনের ভূমিকায়। এটাই ছিল তাঁর শেষ কাজ।

০৯ ১২

পাঁচ দশকের কেরিয়ারে অভিনয় করেছেন প্রায় ২২৫ টি ছবিতে। তবে শেষ দিকে তাঁকে কাজ করতে হয়েছিল বাধ্য হয়ে। এ কে হাঙ্গলের ছেলে বিজয় ছিলেন ফটোগ্রাফার। কিন্তু দীর্ঘদিন তিনি ছিলেন কর্মহীন। ফলে তাঁর বাবার চিকিৎসার খরচ যোগাড় করা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

১০ ১২

ইন্ডাস্ট্রি ও রাজনৈতিক মহল, সাহায্য এসেছিল দু’ তরফেই। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা ছিল যথেষ্ট কম। ফলে প্রবীণ অভিনেতার সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি। অর্থকষ্টের জেরে তাঁর বয়সজনিত রোগের চিকিৎসা ব্যাহত হয়।

১১ ১২

২০১২ সালে বাড়িতে পড়ে গিয়ে আহত হন বর্ষীয়ান অভিনেতা। প্রয়োজন ছিল অস্ত্রোপচারের। কিন্তু অন্যান্য শারীরিক সমস্যার জন্য তা শেষ অবধি আর করা যায়নি। লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাঁকে। হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়, ২০১২-র ১৬ অগস্ট।

১২ ১২

জীবনভর অবহেলার ছবি পাল্টায়নি মৃত্যুতেও। এ কে হাঙ্গলের শেষকৃত্যে অনুপস্থিত ছিলেন বলিউডের অধিকাংশ তারকাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement