নিজেদের লেখা ও সুর করা গানের ভিডিয়ো ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রামে দর্শকদের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন শিল্পীরা। নীল রায়ের অভিনব ভাবনার কাজ চলছে পুরোদমে। এই অভিনব উদ্যোগের নেপথ্যে কী রয়েছে? কী ভাবে সম্ভব হল খ্যাতনামা শিল্পীদের নতুন কাজে শামিল করা? আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে ভাবনার কথা বললেন নীল রায়। ‘‘রিল এখন খুবই জনপ্রিয়। তারকা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই এখন রিল করছেন। এখান থেকেই মনে হয়েছে একটা মিউজিক ভিডিয়োকে রিলের ফরম্যাটে করলে কেমন হয়? এই ভাবনা থেকেই আমি কাজ করেছি। আমার ইচ্ছা ছিল শুধু গান রেকর্ড নয়, এক মিনিটে সেই গানের মিউজিক ভিডিয়োও করার। আমরা কাজ করছি নতুন গান নিয়ে। এখানে এক মিনিটের মধ্যে একটা গানকে মিউজিক ভিডিয়োর আকারে তৈরি করা হচ্ছে।
এত অল্প পরিসরে সম্ভব একটা গান রেকর্ড করা? সাধারণত ২-৩ মিনিট সময় লাগে একটা গানের ক্ষেত্রে? নিজের পরিকল্পনার কথা খুলে বললেন নীল, ‘‘আগে তো একটা গান রেকর্ড করতে ৪-৫ মিনিট সময় লাগত, পরে সেটা কমে ২-৩ মিনিট হয়। এ বার আরও কম সময়ে গান রেকর্ড করছি। এক মিনিটে মিউজিক ভিডিয়োও করা হয়েছে। প্রথমে কাজটা কঠিন মনে হলেও সকলের সহযোগিতায় সহজ হয়ে গিয়েছে। আমাদের সঙ্গে ন’জন সঙ্গীত শিল্পী রয়েছেন। জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী, রূপঙ্কর বাগচী, রূপম ইসলাম, লোপামুদ্রা মিত্র, জয় সরকার, সোমলতা আচার্য চৌধুরী, সাহানা বাজপেয়ী। সঙ্গীত শিল্পীদের সঙ্গে গানের দৃশ্যে অভিনয় করেছেন স্বস্তিকা দত্ত, জন ভট্টাচার্য ও ফালাক রশিদ রায়। সবাই উপভোগ করেছেন নতুন ধরনের কাজ।’’ সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও প্রথম গান লিখলেন। সুরও তাঁর। মিউজিক ভিডিয়োতেও দেখা যাবে তাঁকে। লোপামুদ্রা মিত্রর গানের সঙ্গীতায়োজন জয়ের। এখানে জয় গানও গেয়েছেন লোপার সঙ্গে। আর কী চমক আছে এই প্রকল্পে? জানালেন নীল,‘‘আগে সব ধরনের ভিডিয়ো ল্যান্ডস্কেপে রেকর্ড করতে হত। এখানে ভার্টিকালি রেকর্ড করা হয়েছে। এটাই বিশেষত্ব। মিউজিক ভিডিয়োর কোরিওগ্রাফি করেছেন বাবা যাদব।’’
এক মিনিটে একটা গানের দৃশ্য রেকর্ড করাটা কি আদৌ সহজ? কী ভাবে সম্ভব হল জানালেন কোরিওগ্রাফার বাবা যাদব। ‘‘ভার্টিকাল ফরম্যাটে ভিডিয়ো শ্যুট এই প্রথম হল। আমার কাছে এটা একটা দারুণ অভি়জ্ঞতা। এই নতুন পদ্ধতিতে কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখলাম।’’এই মিউজিক ভিডিয়োতে দর্শক নতুন কী পাবে? কোরিওগ্রাফারের দাবি, ‘‘এক মিনিটের একটা মিউজিক ভিডিয়ো এটাই আসল আকর্ষণ। এখানে সাতটা ভিন্ন ধারার গান রয়েছে। গানের গল্পের মতো করেই নৃত্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রত্যেকটা মিউজিক ভিডিয়ো আলাদা ভাবে ভাললাগা তৈরি করবে দর্শকের মনে।’’