ছবির নাম ‘মেশিন’। প্রযোজনা ও নির্দেশনায় আব্বাস-মস্তান জুটি। কিন্তু এই ছবি দর্শকদের মন কাড়তে পারেনি সে ভাবে। সিনেমা হলগুলোরও মাছি তাড়ানোর মতো অবস্থা। জুহু পিভিআর-এর মতো সিনেমা হল শো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মাত্র ১ জন দর্শক এই সিনেমা দেখতে এসেছিলেন। তাই বিকেলের শো পুরো বন্ধ রাখা হয়।
২৭ বছরে ১৭টি সিনেমার নির্দেশনা দিয়েছেন আব্বাস-মস্তান জুটি। একের পর এক হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়ে এসেছেন ৮০-র দশক থেকে।
কিন্তু সেই জুটি যে এমন একটা ছবি তৈরি করবেন, তাঁদের ভক্তরাও তা ভাবতে পারেননি। ২৭ বছর বলিউড মাতানোর পর এ ভাবে ধরাশায়ী হয়ে যাওয়াটা ফিল্মি দুনিয়াও মেনে নিতে পারছে না।
আরও পড়ুন: ‘দ্য কপিল শর্মা’ শো ছেড়ে দিতে চান প্রীতিও?
আব্বাস-মস্তান বরাবরই সাসপেন্স-থ্রিলার ছবির জন্য দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ‘মেশিন’ ছবিটাকেও অনেকটা তাঁদের সেই বাঁধাধরা ধাঁচের মধ্যে ফেলে দর্শকদের মন কাড়তে চেয়েছিলেন। ছবিটি তৈরি করতে ২৫ কোটি টাকা খরচ হয়। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার আগেই যে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়বে সেটা ভাবতে পারেননি ৮০ ও ৯০-এর দশকের এই সফল জুটি। তা-ও আবার জোর ধাক্কাটা এল আব্বাসের ছেলের ডেবিউ ছবি থেকে।
আব্বাস-মস্তান
কেন এই হাল হল সফল জুটির?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক জায়গাতেই বেশ কিছু এমন ভুল হয়েছে যেগুলো দর্শক নিতে পারেনি। ছবিতে আবার মোহরা-র বিখ্যাত গান ‘তু চিজ বড়ি হ্যায়’ গানটাকে এমন ভাবে ব্যবহার করেছেন কম্পোজার যে সেটাও পরীক্ষায় ডাহা ফেল!
আব্বাস-মস্তান যে টান টান উত্তেজনার সিনেমা তৈরিতে অভ্যস্ত, এখানে সেটাও খুব একটা দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে রেটিংয়েও এক্কেবারে শূন্য পেয়েছে ‘মেশিন’।
অথচ বাজিগর, বাদশা, রেস, হামরাজ, অ্যাতরাজ, আজনবি-র মতো ছবির নির্দেশনা করে বক্স অফিস মাতিয়েছেন এই জুটি। তাঁদের হাত ধরেই উঠে এসেছেন শাহরুখ, অক্ষয়ের মতো স্টারেরা।