অঙ্কিতা লোখণ্ডওয়ালার সঙ্গে ব্রেক আপের পরে উঠে এসেছিল বেশ কিছু নাম। সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বিশেষ বান্ধবী হিসেবে। কখনও কৃতী শ্যানন, আবার কখনও বা সারা আলি খান। এ বার সব জল্পনার যবনিকা পতন। সুশান্তের জন্মদিনে তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিলেন রিয়া চক্রবর্তী। আসুন, পরিচয় করি এই বঙ্গতনয়ার সঙ্গে।
রিয়ার জন্ম ১৯৯২-এর ১ জুলাই, বেঙ্গালুরু শহরে। বাবার কর্মসূত্রে ভারতের বিভিন্ন শহরে কেটেছে শৈশব। পড়াশোনা অম্বালা ক্যান্টনমেন্টের আর্মি পাবলিক স্কুলে।
এম টিভি-র ভিডিও জকি হিসেবে কেরিয়ার শুরু। এম টি ভি-র বিভিন্ন শো তিনি সঞ্চালনা করেছেন।
২০১২ সালে প্রথম অভিনয় বড় পর্দায়। তেলুগু ছবি ‘তুনেগা তুনেগা’ দিয়ে নায়িকা হিসেবে পথ চলা শুরু।
পরের বছরেই সুযোগ হিন্দি ছবিতে। অভিনয় করেন ‘মেরে ড্যাড কি মারুতি’ ছবিতে। গত আট বছরে রিয়া অভিনয় করেছেন আটটি ছবিতে। এর মধ্যে একটি তেলুগুতে। বাকিগুলি সবই হিন্দিভাষার ছবি।
মঙ্গলবার ছিল সুশান্তের জন্মদিন। সে দিনই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দেন রিয়া। সেখানে সুশান্তকে স্বীকার করে নেন বয়ফ্রেন্ড হিসেবে।
রিয়ার পোস্টের পাল্টা উত্তর দেন সুশান্তও। সেখানে রিয়াকে তিনি সম্বোধন করেন ‘রকস্টার’ নামে।
এর আগে মহেশ ভট্টের সঙ্গে রিয়ার সম্পর্ক আছে বলে গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। গত বছর মহেশের ৭০ তম জন্মদিনে আবেগঘন বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন রিয়া।
মহেশের সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করে রিয়া ক্যাপশনে লিখেছিলেন ‘শুভ জন্মদিন আমার বুড়ো… মহেশ স্যার। এটাই আমরা। তুমি ভালবেসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছ, আমাকে ভালবাসা দিয়েছে, তুমি আমার চিরকালের মতো গুটিয়ে রাখা ডানা খুলে দিয়েছে, আমাকে উড়তে শিখিয়েছে… আর কোনও শব্দ আসছে না, তোমাকে ভালবাসি।’
এই পোস্টের জেরে রিয়াকে যথেষ্ট সমালোচিত হতে হয়েছিল। পরে তিনি বলেন, মহেশ তাঁর শিক্ষক। তাঁর বাবার মতো। কিন্তু তাতেও বন্ধ হয়নি নিন্দার স্রোত।
গত এক বছর ধরে সুশান্ত-রিয়া সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ভাসছিল ইন্ডাস্ট্রির বাতাসে। বিদেশে ছুটি কাটাতেও গিয়েও ধরা পড়েছিলেন ফটোশিকারিদের লেন্সে। তারপরেও সম্পর্ক নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। এ বার নীরবতার অবসানে সাড়ম্বরে স্বীকার করলেন প্রেমের কথা।