একজন বলিউডের চিরসবুজ নায়ক। তাঁর বয়সের ছাপ চেহারায় কিছুতেই পড়ে না। তিনি, অনিল কপূর। আর এক জন এখনও ইন্ডাস্ট্রির মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর। তিনি, সলমন খান। এখন তাঁরা খুবই ভাল বন্ধু। কিন্তু একসময় তাঁদের সম্পর্ক ছিল খুবই তিক্ত।
এতটাই গড়িয়েছিল তিক্ততার রেশ যে, সলমন খান নাকি মারতেও চেয়েছিলেন অনিল কপূরকে। কিন্তু তিনি কোনওমতে বেঁচে যান।
এটা সেই সময়ের কথা, যখন সলমন খান অভিনয় শুরু করেননি। ইন্ডাস্ট্রিতে টুকটাক অন্য কাজ করছেন। আর বিভিন্ন জায়গায় অডিশন দিচ্ছেন। সে সময় অনিল কপূর ‘হামলা’ নামে একটি ছবি বানাবেন বলে ঠিক করলেন।
ছবির শুটিং হয়েছিল ১৯৮৭-তে। তবে মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯২ সালে। এই ছবির ইউনিটে একজন তরুণী সহকারীর সঙ্গে নাকি অনিল বেশ ফ্লার্ট করতেন।
অবস্থা এতটাই গুরুতর হয় যে, অনিল কপূরের সামনে ওই তরুণী অস্বস্তিতে পড়তেন। শেষ অবধি ফ্লার্ট করে কোনও লাভ না হওয়ায় অনিল নাকি হুমকির পথ নেন। শোনা যায়, তিনি নাকি তরুণীর নামে কুৎসা রটানোর হুমকি অবধি দিয়েছিলেন।
এই তরুণী ছিলেন শাহিন। তিনি ছিলেন সলমনের সেই সময়কার বান্ধবী। তাঁর কলেজের সামনে সলমন ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতেন। শাহিন নাকি সলমনকে তাঁর সমস্যার কথা খুলে বলেন।
কিন্তু সলমনকে তো তখন কেউ চেনেন না। কিন্তু তিনি চুপ করে বসে থাকার পাত্র নন। বান্ধবীর সঙ্গে তিনি সোজা চলে গেলেন ‘হামলা’-র সেটে। সেখানে সবার সামনে সরসারি কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অনিল কপূরকে।
মুখে বলেই শান্ত হননি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এর পর সলমন অনিলকে নাকি ঘুষি মারতেও যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেটে হাজির ইউনিটের লোকজন তাঁকে নিরস্ত করেন। তাঁদের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয় দু’জনের বিবাদ। সে যাত্রা রক্ষা পান অনিল।
এর পর ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমে এলে সলমন ঝামেলার ঘটনাটি অস্বীকার করেন। তবে অনিল কপূর যে শাহিনের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছিলেন, সে দাবি থেকে সলমন সরেননি।
সলমন ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পরে অবশ্য ছবিটা পুরো পাল্টে যায়। তাঁর ব্রেক আপ হয়ে যায় শাহিনের সঙ্গে। তাঁর জীবনে আসেন সঙ্গীতা বিজলানি।
তাই, যখন শাহিন-ই জীবন থেকে চলে গিয়েছেন, তখন তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা তিক্ততা মনে রেখে আর কী হবে!
ফলে অনিল কপূরের সঙ্গে বিবাদ তিনি মিটিয়ে ফেলেন। বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ছবিতেও দু’জনকে দেখা যায় একসঙ্গে। সেগুলোর মধ্যে ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’, ‘রেস থ্রি’ এবং ‘যুবরাজ’ উল্লেখযোগ্য।