(বাঁ দিকে) নবনীতা দাস। জীতু কমল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গত কয়েক দিন ধরেই জ্বরে ভুগছি। এই মুহূর্তে আমি কলকাতার বাইরে রয়েছি। পরিবারের সঙ্গে একটা কাজে শহরের বাইরে আসতে হয়েছে। আগে থেকে পরিকল্পনা করা ছিল বলে একপ্রকার জোর করেই আসতে হয়েছে। না হলে হয়তো আমি আজ শহরেই থাকতাম। আজ জীতুর জন্মদিন, ভুলিনি। শরীর খারাপ বলেই আজ খুব সকালে ঘুম ভেঙেছে। তার পরেই ওকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটা মেসেজ করেছিলাম। তার উত্তরও পেয়েছি।
একটা সময়ে আমরা একে অপরের জন্মদিনে একসঙ্গে কেক কাটতাম। সেই ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে অনুরাগীরা দেখছেন। তাঁদের কাছে আমরা প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি। জীতুও কিন্তু আমার জন্মদিনটা মনে রাখে। কারণ, অগস্ট মাসে আমাদের দু’জনেরই জন্মদিন।
আমাদের দু’জনের জীবন এখন অনেকটা বদলে গিয়েছে। জীতু আজ বাড়িতে রয়েছে কি না, এখনও আগের বাড়িতেই থাকে কি না, আমি কিছুই জানি না। তাই জীতুর জন্মদিনে ওকে কোনও উপহার দিতে চাইলেও সেটা আদৌ ওর কাছে পৌঁছবে কি না, জানি না। আজ ওকে ফোন করব কি না, সেটাও এখনও জানি না। তবে আমি জানি, ওকে কিছু বলতে হলে, কোনও ভাবনাচিন্তা না করেই সরাসরি ফোন করতে পারি।
জন্মদিনে জীতুর জন্য আমার তরফে অনেক শুভেচ্ছা। আমি চাই জীবনে আরও উন্নতি করুক। আমি জানি, বিভিন্ন বিষয়ে জীতু খুবই প্রতিবাদী। আমার খুব একটা ভয় করে না। কারণ আগেও অনেক ঘটনা ওরই মুখ থেকে শুনেছি। একসঙ্গে থাকতে গিয়ে নিজের চোখেও দেখেছি। তাই জানি জীতু কতটা প্রতিবাদী। আমি শুধু চাই, নিজের মতো করে এগিয়ে যাক।