অভিনেতা অক্ষয় কুমার। ছবি : সংগৃহীত।
২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল অক্ষয় কুমারের ছবি ‘ওএমজি- ওহ মাই গড’। তার ১১ বছর পরে মুক্তি পেতে চলেছে দ্বিতীয় ছবি ‘ওএমজি ২’। গত ১১ জুলাই মুক্তি পেয়েছে ছবির প্রথম ঝলক। আগামী ১১ অগস্ট মুক্তি পাওয়ার কথা অক্ষয়ের ছবির। তার আগেই একের পর এক বাধা ‘ওএমজি ২’-এর সামনে। মুক্তির আগে থেকেই একগুচ্ছ বিতর্ক। সেন্সর বোর্ডের নিশানায় ‘ওএমজি ২’। দিন কয়েক আগেই সেন্সর বোর্ড এই ছবির ২০টি দৃশ্যে কাঁচি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ছবিকে ‘ইউ/এ’-এর বদলে ‘এ’ শংসাপত্র দিতে চলেছে সেন্সর বোর্ড। তাতে ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছেন নির্মাতারা। এ বার নতুন নির্দেশ। ছবিতে অক্ষয়কে ভগবান শিব হিসাবে দেখানোয় আপত্তি। ছবির বিভিন্ন দৃশ্যে নীলাভ অঙ্গে জটা মাথায় দেখা গিয়েছে অভিনেতাকে। এ বার সেই অংশগুলিকেই অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
‘ওএমজি- ওহ মাই গড’ ছবিতে শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করার পর ‘ওএমজি ২’-তে মহাদেবের ভূমিকায় দেখা যেতে চলেছে অক্ষয়কে। সমাজমাধ্যমের পাতায় ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে সেই লুক। অভিনেতাকে মহাদেবের লুকে দেখে রীতিমতো উত্তেজিত তাঁর অনুরাগীরা। কিন্তু তাতেই আপত্তি সেন্সর বোর্ডের।
অক্ষয়কে শিবের চরিত্রে মানতে পারছেন না উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর মন্দিরের পুরোহিতরা। তাঁরা জানিয়েছেন, মহাদেবের কোনও রকম অসম্মান সহ্য করবেন না। মহেশ শর্মা নামে এক পুরোহিত ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, নির্মাতাদের উচিত মহাকালেশ্বর মন্দিরে তোলা দৃশ্যগুলি মুছে দেওয়া। উল্টো দিকে সেন্সর বোর্ড চাইছে, শিবের চরিত্রের বদলে শিবের দূত করে দেওয়া হোক চরিত্রটিকে। মুক্তির দু'সপ্তাহ আগে এই ধরনের পরিবর্তনের দাবিতে বিড়ম্বনায় নির্মাতারা। ছবিটি ইতিমধ্যেই এক রকম ভাবে শুটিং করা হয়েছে। এই মুহূর্তে এতগুলি পরিবর্তন আনতে গেলে সময় লাগবে। অভিনেতার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এত কিছু বিধিনিষেধ আচমকা আসায় খানিক পিছিয়ে যাবে ছবির মুক্তি। তা ছাড়াও আর্থিক ক্ষতির দিকটিও রয়েছে। সবটা নতুন করে করতে অনেক সময় লাগবে। সব মিলিয়ে এখন ‘ওএমজি ২’ ছবির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান সিনেপাড়া।