নিখিল ও নুসরত
বুধবার বিবৃতি জারি করে নিখিলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের নাম পাল্টে দিয়েছেন নুসরত। যা এত দিন তিনি ‘বিয়ে’ বলতেন, তা এখন থেকে কেবলমাত্র ‘সহবাস’। এমন বক্তব্য দেওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ইনস্টাগ্রাম থেকে নুসরত তাঁর এককালীন ‘সহবাস সঙ্গী’ নিখিল জৈনের সমস্ত ছবি মুছে ফেলেছেন। সেখানে ছিল বিবাহ-পরবর্তী রীতি করবা চৌথের ছবি, তাঁদের ‘বিয়ে’-র অনুষ্ঠানের ছবি। এই ধরনের ছবি নিয়ে যাতে কেউ তাঁকে কোনও প্রশ্ন না করতে পারে, তাই এই পদক্ষেপ করলেন নুসরত। কিন্তু তাঁদের ‘বিয়ে’ অথবা ‘সহবাস’-এর শুরুর সময়ের একটি ছবি রয়ে গিয়েছে ইনস্টাগ্রামে। কন্যা বিদায়ের সময়ে বাবার সঙ্গে মেয়ে। বাবাকে জড়িয়ে কাঁদছেন নুসরত। পরনে তাঁর লাল বিয়ের পোশাক। গায়ে হলুদ লেগে রয়েছে। পিতৃদিবসে বাবাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী।
‘বিয়ে’ অথবা ‘সহবাস’-এর শুরুর সময়ের একটি ছবি রয়ে গিয়েছে নুসরতের ইনস্টাগ্রামে।
তাঁর ফেসবুক অবশ্য অন্য কথা বলছে। ফেসবুক প্রোফাইলে এখনও তাঁদের বিয়ের সমস্ত ছবি জ্বলজ্বল করছে। কেন? সেই উত্তর মেলেনি। আর সেই সমস্ত ছবিতে নেটাগরিকরা সাংসদ-অভিনেত্রীর বিবৃতির প্রসঙ্গ টেনে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। নুসরত ও নিখিলের একাধিক ফোটোশ্যুট, তুরস্কের সেই অনুষ্ঠান, ইত্যাদি বিভিন্ন রং বেরঙের ছবি নুসরতে প্রোফাইলে দৃশ্যমান। এমনকি রয়েছে ঘনিষ্ঠ হয়ে তোলা ছবিও।
নুসরতের ফেসবুকে নিখিলের ছবি ভর্তি
নুসরত-নিখিলের ‘বিয়ে’-র ছবি নুসরতের প্রোফাইলে।
কিন্তু নিখিল কী করছেন? পেশায় ব্যবসাদার নিখিল। তাঁর পোশাক বিপণন সংস্থার জন্য নুসরত অনেক ফোটোশ্যুট করেছিলেন। কিন্তু তার প্রমাণ নেই নিখিলের ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকে। নেই নুসরতের সঙ্গে একটিও পুরনো ছবি। কেবল ফেসবুকে একটি ছবি রেখে দিয়েছেন তিনি। তাঁর সংস্থা আয়োজিত কোনও অনুষ্ঠানে নুসরত উপস্থিত ছিলেন। সে দিনের একটি ছবি দেখা গিয়েছে নিখিলের ফেসবুক প্রোফাইলে। যেখানে নিখিল ও নুসরত একই ফ্রেমে। এ ছাড়া আর কোনও চিহ্ন নেই নিখিলের ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে। অথচ নুসরতের বোন নুজহতের সঙ্গে নিজের একটি ছবি এখনও উড়িয়ে দেননি নিখিল। নুসরতের বিবৃতিতেও নুজহতের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। আনন্দবাজার ডিজিটালকে নিখিল জানিয়েছিলেন, নুসরতের বোনের পড়াশোনার খরচ অনেক সময়েই তাঁকে বহন করতে হয়েছে। নিখিলের এই বক্তব্যকে সরাসরি নস্যাৎ করে দিয়ে নুসরত জানিয়েছেন, ‘আমি বরাবর আমার বোনের পড়াশোনার এবং পরিবারের সমস্ত খরচ একা হাতে বহন করেছি’। নুজহত ছাড়াও নুসরতের বন্ধুর ছবি নিখিলের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে রয়ে গিয়েছে। সাংসদ-অভিনেত্রী মিমিকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন নিখিল। প্রশ্ন, নেটমাধ্যমে নুসরত তাঁদের প্রেমের প্রমাণ রেখে দিলেও নিখিল কেন উড়িয়ে দিলেন সব? এই উত্তর মেলেনি কোনও তরফেই।
নিখিলের প্রোফাইলে নুসরতের একমাত্র ছবি।
নিখিলের প্রোফাইলে মিমি ও নুজহতের ছবি
সব মুছে দিতে চাইলেও মুছে দেওয়া যায় না। ডিজিটালর মাধ্যমটাই এমন। ইউটিউবে একাধিক সাক্ষাৎকার রয়ে গিয়েছে নুসরত ও নিখিলের। যেখানে নিজেদের প্রেম জাহির করেছেন তিনি। কোনও কোনও ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে নিখিলকে তিনি ‘বসিরহাটের জামাই’ এবং ‘কলকাতার জামাই’ বলে পরিচয় দিয়েছেন সকলের সামনে। শুধু তাই নয়, ‘গুগল’-এর ভাণ্ডারেও প্রাক্তন যুগলের প্রেমের প্রমাণ রয়ে গিয়েছে।