(বাঁ দিক থেকে) নুসরত জাহান, মদন মিত্র এবং যশ দাশগুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
গত বছর বাংলা ছবিতে অভিষেক হয় মদন মিত্রের। হরনাথ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘ওহ লাভলি’ ছবিতে ক্যামিয়ো চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মদন। ছবি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও মদনের অভিনয় অনুরাগীদের মধ্যে সাড়া ফেলেছিল। আরও এক বার বাংলা ছবিতে অভিনয় করলেন কামারহাটির বিধায়ক।
সম্প্রতি নুসরত জাহান এবং যশ দাশগুপ্ত অভিনীত ‘সেন্টিমেন্টাল’ ছবির ট্রেলার প্রকাশ্যে এসেছে। এই ছবিতেই বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মদন। ট্রেলারের শেষের দিকে একটি মাত্র দৃশ্যে তার ঝলক দেখেছেন দর্শক। যশের উদ্দেশে তাঁর মুখে সংলাপ, ‘‘রঘুনাথপুরে তোমার যে ‘মেন্টাল’ সুনামটা আছে, এটা সঙ্গে নিয়েই যেয়ো না।’’ ছবিতে পুলিশ কমিশনারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মদন।
‘সেন্টিমেন্টাল’ ছবিতে মদন মিত্রের লুক। ছবি: সংগৃহীত।
হঠাৎ মদন মিত্র কেন? যশ বললেন, ‘‘পর্দায় উপস্থিতি কম, কিন্তু মজাদার চরিত্র। এমন এক জনকে চাইছিলাম যিনি অভিনয়ের পাশাপাশি দর্শককেও খুশি করতে পারবেন। তখন আমরা মদনদার কথা ভাবি।’’ এই প্রসঙ্গে নুসরত বললেন, ‘‘মদনদা যে কোনও চরিত্রের মধ্যেই প্রাণ সঞ্চার করতে পারেন। কারণ, উনি সাবলীল অভিনেতা।’’
মদন মিত্র ব্যস্ত রাজনীতিক। তাঁকে রাজি করানো কতটা কঠিন ছিল? নুসরত বললেন, ‘‘ওঁকে প্রস্তাব দিতেই উনি কিন্তু রাজি হয়েছিলেন। চিত্রনাট্য পড়ে তার পর নিজের স্টাইলে উনি গড়গড় করে সংলাপ বলেন। ফ্লোরে একদম সময় মতো এসেছিলেন এবং সব দৃশ্যের শুটিং সেরে তার পর বেরিয়েছিলেন।’’ যশ-নুসরত জানালেন ফ্লোরেও সকলের সঙ্গে মজা করেই বিধায়ক মশাই শুটিং সেরেছিলেন। যশের কথায়, ‘‘উনি কিন্তু এক খুব মিষ্টি এক জন মানুষ। উনি যে ভাবে আমাদের সাহায্য করেছেন, তাতে আমরা ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’’ যশ-নুসরত দু’জনেই চান আগামী দিনে যাতে দর্শক আরও বেশি করে মদন মিত্রের অভিনয় দেখার সুযোগ পান। নুসরত বললেন, ‘‘মদনদা এমনিতেই তুমুল জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। পাশাপাশি অভিনেতা হিসেবে ওঁর জনপ্রিয়তা বাড়লে আমরা খুশিই হব।’’