তাপসী পান্নু।
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি থেকে বলিউডে আসা নায়িকাদের মধ্যে এই মুহূর্তে অন্যতম সফল অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। থ্রিলার, বায়োপিক, ডার্ক কমেডি, ফ্যামিলি ড্রামা— প্রতি জ়ঁরেই তাঁর অবাধ বিচরণ। বিদ্যা বালনের পরে তিনি অন্যতম অভিনেত্রী, যিনি তথাকথিত বাণিজ্যিক ছবির বাইরে গিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। মুক্তির অপেক্ষায় এবং প্রোডাকশন স্তর মিলিয়ে তাপসীর হাতে আপাতত ছ’টি ছবি। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার খবর আসে, সর্বভারতীয় স্তরে একটি সাই-ফাই ছবির প্রধান চরিত্রের জন্য তাপসীর নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ‘এলিয়েন’ নামে এই ছবি পরিচালনা করবেন বরত নীলকণ্টন, যিনি ডেবিউ করেছিলেন তামিল ছবি ‘কে থার্টিন’ দিয়ে। একাধিক ভাষায় ‘এলিয়েন’ নির্মিত হবে। হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে বড় প্রজেক্ট পাওয়ার পাশাপাশি দক্ষিণেও কাজ করে যাচ্ছেন তাপসী। নিজের শিকড় ভুলে না যাওয়া এবং তারকাসুলভ অহমিকা না দেখানোই তাপসীর সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি তাঁর প্রতিবাদী ভাবমূর্তি এবং রসবোধও আমজনতার মনে তাঁকে আলাদা জায়গা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের খোলাখুলি সমালোচনায় যে সব তারকা সরব হন, তাপসী তাঁদের মধ্যে একজন। ইন্ডাস্ট্রির বড় ক্যাম্পে না থেকেও সাফল্য আদায় করে নিয়েছেন তিনি। কনটেন্ট ভিত্তিক ছবির কদর বাড়ার ফলে নির্মাতারাও তাপসীর মতো ভার্সেটাইল অভিনেত্রীকে ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী পরিচালিত ‘পিঙ্ক’ তাঁর বলিউডের কেরিয়ারকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল। তার পর ‘মুলক’, ‘মনমর্জিয়াঁ’, ‘থাপ্পড়’, ‘সন্ড কী আঁখ’, ‘বদলা’ বুঝিয়ে দিয়েছে, অভিনেত্রী হিসেবে তিনি অপ্রতিরোধ্য। তাই মিতালি রাজের বায়োপিকেও যেমন তাঁকে ভাবা হয়, তেমনই ‘দো বারা’র মতো ইনটেন্স থ্রিলারের মুখও তিনিই।