গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
সূর্য ওঠার আগেই শুক্রবার দিল্লির তিহাড় জেলে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হল নির্ভয়া কাণ্ডের চার প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীকে। সাধারণ থেকে সেলেব— সবার মুখে একটাই কথা, ‘অবশেষে বিচার পেলেন নির্ভয়া’। কিন্তু ২০১২ তে ঘটে যাওয়া সেই নারকীয় ঘটনার বিচার পেতে এত সময় লেগে গেল? এই দীর্ঘমেয়াদি বিচার প্রক্রিয়ার দিকেও আঙুল তুলছেন অধিকাংশই। বিচার ব্যবস্থার যে সংস্কার প্রয়োজন তা মনে করছেন অনেক সেলিব্রিটিরাও। কী বলছেন বলি সেলেবরা? দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে...
প্রীতি জিন্টা
বলিউডের ‘ডিম্পল গার্ল’ খুশি। তবে সন্তুষ্ট নন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, “যদি ২০১২ তেই তাঁদের ফাঁসিকাঠে ঝোলানো যেত তাহলে মাঝে এত গুলো বছরে মহিলাদের উপর হওয়া অত্যাচারের ঘটনায় অনেকটাই রাশ টানা যেত। বিচারব্যবস্থা সংস্কারের এটাই মোক্ষম সময়। সরকারের কাছে আমার আবেদন, তাঁরা যেন এই বিষয় নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করেন।”
ঋষি কপূর
‘ধর্ষকদের প্রতি কোনও সহমর্মিতা নয়’। ঋষি কপূর বলছেন, “যেমন কর্ম তেমনই ফল”। তবে এই বিচার প্রক্রিয়াকে যারা ইচ্ছাকৃত ভাবে দেরি করিয়েছে তাঁদের লজ্জা হওয়া উচিত বলেই মনে করেন তিনি।
রীতেশ দেশমুখ
ভোর বেলা ফাঁসি হয়েছে মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত এবং অক্ষয় কুমার সিংহের। বলি সেলেবদের মধ্যে রীতেশ দেশমুখই প্রথম টুইটারে লেখেন, “দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হল অবশেষে”। তবে এর ঠিক পরেই আরও একটি টুইট করেন রীতেশ। সেই টুইটে অভিনেতা লেখেন, “আরও কড়া আইনি পদক্ষেপ, কঠিন শাস্তি এবং সর্বোপরি চটজলদি আইনি সিদ্ধান্ত গ্রহণই ওই সব ঘৃণ্য মানুষের মনে ভয় ঢোকাতে পারবে”।
রবিনা টন্ডন
ফাঁসি হল, বিচার পেল নির্ভয়া। কিন্তু এই জঘন্যতম অপরাধ কি বন্ধ হবে এ বার? সন্দিহান রবিনা। লিখেছেন, “সাত বছর পর বিচার পাওয়া গেল। জাস্টিস অলমোস্ট ডিনাইড। আশা করছি এ বার সব শেষ হবে।”
সুস্মিতা সেন
সংবাদমাধ্যমের সামনে একাধিক বার কেঁদে ফেলেছিলেন নির্ভয়ার মা আশাদেবী। কেন এত দেরি হচ্ছে? বারেবারেই প্রশ্ন তুলছিলেন তিনি। দিনের পর দিনে তাঁর বিনিদ্র রাতের অবসান হল আজ। সেই কথা টেনে এনে অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন লিখেছেন, “এক জন মা শান্তি পেলেন আজ, ন্যায় পেল নির্ভয়া।”
তাপসী পান্নু
সুস্মিতার মতো একই সুর শোনা গেল তাপসী পান্নুর গলাতেও। “যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন নির্ভয়ার বাবা-মা। অবশেষে শান্তিতে ঘুমোতে পারবেন তাঁরা”, বলছেন তাপসী।
দীর্ঘ সওয়া সাত বছরের উপর টানাপড়েনের ইতিহাস—অবশেষে মিলেছে বিচার। তবে আট বছর যে নেহাতই কম সময় নয়, বারেবারেই সে কথা উঠে আসছে বলিপাড়ার মন্তব্যে।