নুসরত জাহান। ফাইল চিত্র।
এত যত্নবান ‘হাবি’! ভাবা যায়? করোনা অতিমারিতে ব্যবসায়িক চাপের মধ্যেও মনে রেখেছেন সাংসদ, অভিনেতা স্ত্রী-র ঝুলিতে ২০তম ছবি ঢুকল। সেই আনন্দে মাত্র ৪ দিনের মধ্যে নিখিল জৈন বানিয়ে ফেললেন নতুন ডিজাইনের শাড়ি। নুসরত জাহানের জন্য। সেই শাড়ি পরে চওড়া হাসি নিয়ে অংশুমান প্রত্যুষের ছবি ‘এসওএস কলকাতা’র প্রিমিয়ারে এসেওছিলেন তারকা দম্পতি।
প্রায় রাত জেগে সমুদ্র সবুজ জমিনে গাঢ় রানি রঙে নিখিল ফুটিয়ে তুলেছেন নুসরতের ২০টি ছবির চরিত্রের নাম। সবার আগে নজর কেড়েছে পুজো রিলিজ ছবির চরিত্রের নাম, ‘আমান্ডা’। রয়েছে ‘স্মিতা’, ‘রুদ্রাণী’-সহ আরও ১৮টি নাম। লুক থ্রু অর্গ্যাঞ্জায় ফ্লোরাল মোটিফের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার নিখিলের পত্নীপ্রেম!
কী করে এত মনে রাখেন নিখিল? সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন রাখতেই সলজ্জ জবাব দেন ভাঙা বাংলায়, ‘‘কাজের মধ্যেও মনে ছিল, নুসরত ২০টি ছবি করে ফেলল। প্ল্যান করে বানিয়ে ফেললাম শাড়ি। ভাবিনি, ৪ দিনে বানিয়ে উঠতে পারব।’’
সঙ্গে জুড়ে দিলেন প্রশংসা, ভালই মানিয়েছে নুসরতকে! বলতে বলতেই নিখিলের মুখ খুশিতে, গর্বে, ভালবাসায় চকচকে। তাঁর পরনে গাঢ় নীল শার্ট।
নুসরত শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে পরেছিলেন রানি রঙা বুফো হাতা ডিজাইনার ব্লাউজ।
A post shared by ɴᴜsʀᴀᴛ_ᴊᴀʜᴀɴ_ғᴀɴ_ғᴏʀᴇᴠᴇʀ ❤🤞🏻 (@nusrat_jahan_fan_forever) on
‘আমান্ডা’ নিয়ে এর আগেই এক সাক্ষাৎকারে আনন্দবাজার ডিজিটালকে নুসরত জানিয়েছেন, ‘‘আমার চরিত্র আমি নিজেই বেছে নিয়েছি। গতে বাঁধা চরিত্র করতে আর ভাল লাগছিল না। কাজ করতে গিয়ে প্রচুর শিখলাম। ফিট হয়েছি, টোনড হয়েছি বলতে পারেন। অবশ্যই চরিত্রের খাতিরে। অনেক টেকনিক্যাল কথা বলতে হয়েছে। যেগুলো কাজ করতে গিয়ে প্রথম জানলাম। আমরা সত্যি সত্যি তো আর এটিএস বা জঙ্গি দমন শাখার নই! খুব শক্ত স্ক্রিপ্ট। তাই অনেক বার পড়তে হয়েছে।’’
ছবিতে নুসরত জাহানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন যশ দাশগুপ্ত, মিমি চক্রবর্তী। এই ছবি দিয়েই প্রযোজনার দুনিয়ায় পা রাখলেন এনা সাহা।