নতুন সত্যান্বেষীর ফার্স্টলুক
ব্যোমকেশ আর ঘরবন্দি নয়। এতদিন অঞ্জন দত্ত তাঁর ব্যোমকেশকে চেম্বার ড্রামা আর অল্প আউটডোরের মধ্যে রেখেছিলেন। বললেন, ‘‘পুরনো বাংলা সিনেমার আদল থাকত আমার ছবিতে। এবার সেই ঘরানা থেকে বেরতে চাইছি। না হলে একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছিল। অনেক বেশি অ্যাকশন থাকবে। ব্যাপ্তি আরও বড় হবে।’’
ছবির ক্যানভাস বা়ড়িয়ে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি গল্পকে মেলাচ্ছেন অঞ্জন। ‘সত্যান্বেষী’, ‘অগ্নিবাণ’ এবং ‘উপসংহার’। গল্পে ‘সত্যান্বেষী’ আসছে মানে একেবারে আনকোরা ব্যোমকেশ। সেখানে ব্যোমকেশের বয়স বছর কুড়ি। সেই চরিত্রে যিশু সেনগুপ্ত বেমানান। তাই কম বয়সি ব্যোমকেশের জন্য নতুন অভিনেতা নিয়েছেন পরিচালক। সৌমেন্দ্র ভট্টাচার্য। থিয়েটার অভিনেতা। ‘ম্যাড অ্যাবাউট ড্রামা’ থেকে তাঁকে বেছেছেন অঞ্জন।
ছবির ব্যাকরণ মেনে বদলে যাচ্ছে অজিতও। কম বয়েসের অজিত হচ্ছেন অরিত্র। তিনিও ‘ম্যাড অ্যাবাউট ড্রামা’ থেকেই। ‘‘ব্যোমকেশ আর অজিতের কম বয়স দাবি করছিল গল্পে। সেই জায়গা থেকেই সৌমেন্দ্র, অরিত্রকে নিয়ে আসা,’’ বললেন অঞ্জন।
যিশু সেনগুপ্ত
ছবির নাম ‘ব্যোমকেশ ও অগ্নিবাণ’। প্রেক্ষাপটে কলকাতার নানা সময়কালকে ধরছেন অঞ্জন। ১৯৫৪ থেকে একেবারে সত্তরের দশক পর্যন্ত কলকাতাকে ক্যামেরাবন্দি করবেন তিনি। ‘অগ্নিবাণ’ গল্পের রেফারেন্সেই আসছে ‘উপসংহার’ এবং ‘সত্যান্বেষী’। যেখানে ভিলেন একজনই। অনুকূল চন্দ্র। যে চরিত্রটা অঞ্জন নিজেই করছেন। এটাও চমক! ব্যোমকেশের জীবনে অনুকূল বারবার ফিরে এসেছে। যেমন শার্লক হোমসের জীবনে মরিয়ার্টি। ‘‘ব্যোমকেশ আর অনুকূলের টক্করটা ভাল করে দেখাব। ব্যোমকেশকে ছদ্মবেশ নিতেও দেখা যাবে,’’ বললেন পরিচালক।
আলাদা প্রেক্ষাপটের দাবি মেনে গল্পে ষাটের দশকের আগে এবং পরের কলকাতা থাকছে। পুরনো দিনের টেরিটিবাজার, চিনে পট্টিকে ‘রিক্রেয়েট’ করা হবে বলে জানালেন পরিচালক। নকশাল পিরিয়েডের রেফারেন্সও থাকবে। থাকবে সেই সময়ের ডান্স বারও।
অঞ্জন এতদিনের চেনা ছক ভাঙতে চাইছেন কেন? প্রতিযোগিতা বেড়ে যাচ্ছে?
‘‘না, অনেকগুলো ব্যোমকেশ তো বানিয়ে ফেললাম। এবার ক্যানভাসটা বাড়ানোর দরকার ছিল। নয়তো ব়ড্ড সেফ খেলা হয়ে যাচ্ছিল,’’ জবাব অঞ্জনের। শ্যুটিং শুরু ২০ মার্চ থেকে।
দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ