রাজার এবং মাম্পির ফুলশয্যার দৃশ্য।
একই সঙ্গে নিন্দিত আর নন্দিত ‘দেশের মাটি’-র রাজা-মাম্পি! স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিকের এই যুগলের বিয়ে নিয়ে উন্মুখ সব বয়সের দর্শক। অধীর অপেক্ষা ছিল ফুলশয্যা নিয়েও। যত বিতর্ক সেই দৃশ্য ঘিরে। দুই অভিনেতার ঘনিষ্ঠতা দেখে এই প্রজন্ম খুশি। তার মধ্যেও নীতিপুলিশির ছড়ি উঁচিয়েছেন কিছু দর্শক-অনুরাগী। নেটমাধ্যমে কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের ছবি দিয়ে একটি মিম বানিয়েছেন তাঁরা। শিরোনামে অভিযোগ, ‘পরিবারের সঙ্গে স্টার জলসা দেখতে বসেছিলাম...!' আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে ‘রাজা’ ওরফে রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মানুষের বদলে দু'টি ফুলের ‘ঘনিষ্ঠতা’ দেখালে তা আরও বিসদৃশ লাগত।
মন্তব্য বিভাগে কটাক্ষের বান। কেউ বলেছেন, এই ধরনের দৃশ্য দেখতে সত্যিই লজ্জা করে। কারওর দাবি, তিনি মায়ের সঙ্গে বসে ধারাবাহিক দেখছিলেন। এই ধরনের দৃশ্য দেখানোয় ভয়ানক অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন। আরেকজন লিখেছেন, ‘হাসতেও পারছিলাম না, দেখতেও পারছিলাম না!’ সমালোচনার মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে রসিকতা। জনৈক নেটাগরিক জানিয়েছেন, বয়স্ক প্রজন্ম নাকি ভক্তিমূলক ধারাবাহিক ছেড়ে এগুলোই বেশি দেখছেন! সুতরাং, রাজা-মাম্পির ঘনিষ্ঠতা দেখানো হোক।
‘রাজা’ ওরফে রাহুলেরও কি একই মত? তাঁর স্পষ্ট জবাব, ‘‘সন্দীপ্তা সেনের সঙ্গে ‘তুমি আসবে বলে’ ধারাবাহিকে এর থেকেও সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করেছি। এর আগেও প্রচুর ধারাবাহিকে এই ধরনের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। সুতরাং, এ ভাবে ‘গেল গেল’ রব তোলার কিচ্ছু নেই!’’ একই সঙ্গে ‘রাজা’ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ৮০টি ইতিবাচক পোস্ট আছে। যেখানে তাঁদের অভিনয় প্রশংসিত।
অভিনেতা এখানেই থামেননি। উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন পিকাসোর বক্তব্য। অশ্লীলতা প্রসঙ্গে বিশ্বখ্যাত চিত্রকরের মত, নগ্ন নারীর চেয়ে আংশিক নগ্নিকা বেশি অশ্লীল। সেই জায়গা থেকে রাহুলের দাবি, ‘‘গালে-কপালে চুম্বন আর জড়িয়ে ধরা-- এই ভঙ্গিগুলো দিয়েই আমরা দৃশ্যকল্প তৈরির চেষ্টা করেছি।’’ তাঁর মতে, এ গুলোর বদলে পুরনো দিনের সিনেমার মতো দু'টি ফুলকে কাছাকাছি দেখালে বরং বেশি হাস্যকর দেখাত।